বাংলাফ্লো প্রতিনিধি,
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ বিপাকে পড়লেও আরও বড় বিপদ এড়াতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আজ আমরা সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক এড়িয়ে যেতে পেরেছি, এটা আমাদের পোশাক খাত এবং এই খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য ভালো খবর।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছি এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা বাজারে প্রবেশের নতুন সুযোগও সৃষ্টি করেছি।”
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, “আমরা খুব হিসাব-নিকাশ করে আলোচনা করেছি, যাতে আমাদের প্রতিশ্রুতি জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।”
তিনি বলেন, “আমাদের পোশাক খাতকে রক্ষা করা ছিল শীর্ষ অগ্রাধিকার। একই সঙ্গে আমরা মার্কিন কৃষিপণ্য কেনার অঙ্গীকার করেছি, যা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি-নির্ভর অঙ্গরাজ্যগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে সাহায্য করবে।”
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষরিত এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসে। যদিও মার্কিন প্রশাসন প্রথমে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছিল, শেষ পর্যন্ত তা কমিয়ে আনা হয়।
এছাড়াও বলা হয়, 'বাংলাদেশ ২০ শতাংশ শুল্কহার পেয়েছে—যা দেশটির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর মতোই। যেমন শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া—যাদের হার ১৯ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে। ফলে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান অক্ষুণ্ন থাকছে। বিপরীতে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারায় তাদের শুল্কহার ২৫ শতাংশ নির্ধারিত হয়েছে।'
বিশ্লেষকদের মতে, এই সমঝোতা একদিকে যেমন বাংলাদেশের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতিকে বড় ধাক্কা থেকে রক্ষা করেছে, তেমনি ওয়াশিংটনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কেও ভারসাম্য রক্ষা করেছে।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0