মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পুলিশ আহত, বুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছে ‘হেক্সা চাকু’ টাইপ কিছু ছিল: রমনা ডিসি

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে ‘হেক্সা চাকু’ টাইপ কিছু ছিল, সেজন্য পুলিশের কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি,

ঢাকা: রাজধানীতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুযেট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

পুলিশ বলছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে ‘হেক্সা চাকু’ টাইপ কিছু ছিল, সেজন্য পুলিশের কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহবাগে ব্লক করার কারণে মানুষের দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল উল্লেখ করে রমনা ডিসি বলেন, শাহবাগের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, তারপরওকিছু বলা হয়নি। তাদেরকে আমরা কখনও বলিনি, ‘ভাই, এখান থেকে চলে যাও।’ যদিও মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ হচ্ছিল।

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ও পজিটিভ ছিল। এরই মধ্যে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়ে গেছে, যেটা তারা চাচ্ছিল। ওদের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তারা বলেছিল, ‘স্যার, এখানে সর্বোচ্চ আমরা আধা ঘণ্টা থাকবো। যদি এর মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হয়, তাহলে আমরা কিন্তু সচিবালয় চলে যাবো।’ তাদেরকে বলা হয়েছিল, আধা ঘণ্টাই থাকো।

সংঘর্ষের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রমনা ডিসি বলেন, এর মধ্যে হঠাৎ তারা যমুনার দিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের ব্লকের দিকে দৌড়ে চলে আসে। তাদের সঙ্গে পুলিশও পিছনে পিছনে দৌড়ে আসে। তারা ব্লক ভেঙেছে। ভাঙার পরে তারা প্রধান উপদেষ্টা বাসভবন পর্যন্ত চলে যায়। এরপরও কিছু ফোর্স সেখানে জড়ো হয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করে। শান্তিপূর্ণভাবে তাদেরকে আস্তে ঠেলে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে এইভাবে কাজ হয়নি। সেজন্য জলকামান মেরে ছত্রভঙ্গ করা হয়। তারা প্রচুর ইট মেরেছে। তাদের কাছে `হেক্সা ধরনের চাকু’ ছিল, যার কারণে পুলিশের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আমি সামনে ছিলাম, তারা ইচ্ছামতো মেরেছে। তবে ওদেরও আহত হতে পারে। সেখানে তাদের অনেকেই পিছন থেকে ঢিল মারছিল। অনেকেই মাঝখানে এসে সমাধান করার চেষ্টা করছিল। তাদের মধ্য থেকেও আহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যাটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না। বিভিন্ন জন বিভিন্ন দিকে চলে গেছে। হাসপাতালে গেছে কেউ, অনেকে হয়তো প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চলে গেছে।

নিরাপত্তা বিষয়ে রমনা ডিসি বলেন, আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে গেলে পুলিশের তো আর করার কিছু থাকে না। তাহলে চাকরিবাকরি আর করার দরকার নেই। ওই রাষ্ট্র কিংবা সরকার বলবে, ভাই, তোমরা চলে আসো। এই নিরাপত্তা যদি দিতে না পারো, তাহলে তোমাদের চাকরি করার দরকার নেই

বাংলাফ্লো/এনআর

Leave a Comment

Comments 0