রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

গজারিয়ায় নৌ ডাকাত ধরতে পুলিশের ব্যাপক অভিযান

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় পুলিশের ওপর নৌ ডাকাতদের হামলার পর তাদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

জেলা প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় পুলিশের ওপর নৌ ডাকাতদের হামলার পর তাদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। বুধবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে। তবে তাতে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ।

অভিযানে পুলিশ, র‌্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডসহ দুই শতাধিক সদস্য অংশ নেন। র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ. এম. সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গুয়াগাছিয়া, জামালপুর ও আশপাশের নদী এলাকায় অভিযান চালানো হলেও কোথাও ডাকাত দলের সদস্যদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এর আগে সোমবার রাত থেকে মতলব উত্তরের বেলতলী লঞ্চঘাট, বেদেপল্লী, আশ্রয়ণ প্রকল্প, সওদাগর বাড়ি এবং চিতাখোলা এলাকায় প্রতিটি বসতবাড়ি ও ঝোঁপঝাড়ে তল্লাশি চালানো হয়। তবে তখনও গুলি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া নৌ ডাকাতদের আটক করা সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গজারিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।

এদিকে হামলার পর থেকে জামালপুর ও শিমুলিয়া এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে এবং রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে গেছে। ভয়ে অনেকেই বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন না।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা ও শাখা নদীতে অবৈধ বালু মহাল ও নৌযানে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনী। প্রতিদ্বন্দ্বী ডাকাত দলের সঙ্গে একাধিকবার গোলাগুলিতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

গ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে গত শুক্রবার জামালপুরে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। তবে এর কিছুদিনের মধ্যেই শনিবার ডাকাতদের পক্ষ থেকে ক্যাম্প সরানোর দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। সোমবার বিকেলে ওই ক্যাম্পেই নৌ ডাকাতরা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে হামলা চালায়।

পুলিশের পাল্টা প্রতিরোধে আধাঘণ্টারও বেশি সময় গুলি বিনিময় হয়। ডাকাতরা অন্তত ১০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং পুলিশ ২৪ রাউন্ড গুলি চালায়। পরে ট্রলারযোগে তারা মতলবের দিকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, বুধবার বিকেলের অভিযানে দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অংশ নেয়। অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি এবং নদীতেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২৫-৩০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাফ্লো/সিএস

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0