স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: নকআউট পর্বের শেষ পাঁচটি ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে। স্নায়ুর লড়াইয়ের তারা এতটাই সাবলীল যে ওই ম্যাচগুলোতে ১৮টি গোল দিয়েছে প্রতিপক্ষের জালে, নিজেদের গোলপোস্ট অক্ষত রেখেই! তাই আজ ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে হারানোর সাধ্য কি আছে চেলসির?
অপটার ইঙ্গিত বিশ্বমুকুট পরার অপেক্ষায় প্যারিসের দলটি। ৬৪.৪ শতাংশ জয়ের সম্ভাবনা পিএসজির। তবে কাগজে কলমে ফেভারিট না হলেও চমক দেখানোর ক্ষমতা আছে ইংলিশ ক্লাব চেলসিরও। যদিও ক্লাব বিশ্বকাপে তাদের ১০টি গোলের ৯টিই করেছেন ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে ইংলিশ ক্লাবটিতে যোগ দিয়ে নজর কেড়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রি। পিএসজির একটি দুর্বল জায়গায় আজ আঘাত করতে পারলে ম্যাচটি জমে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞারা। মাঝমাঠের দখল নিতে হবে চেলসির, আর সেটা করে যদি প্রথমার্ধে কোনোভাবে পিএসজির জালে বল পাঠাতে পারেন পালমার, দিলাপরা; তাহলে হয়তো নাটকীয়তা থাকবে নিউইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।
৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতোই দুটি ইউরোপিয়ান দল ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে এবং প্রথমবারের মতোই ফ্রান্সের কোনো ক্লাব বড় কোনো আসরে ইংলিশ ক্লাবের সামনে পড়েছে। তবে এসব অনেক ‘প্রথম’কেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিয়েছে দেম্বেলে, দুয়োদের ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তারা ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানকে ৫ গোল দিয়েছে। লিগ ওয়ান, কোপ দি ফ্রান্স জয়ের পর এই মৌসুমে চতুর্থ শিরোপা জয়ের কাছাকাছি পিএসজি। লুইস এনরিকের পিএসজি এই মুহূর্তে যে ফর্মে রয়েছে, তাতে ফাইনালে আজও গোলবন্যা হতে পারে। বিশেষ করে, আগের ম্যাচেই তারা যেভাবে রিয়াল মাদ্রিদকে অসহায় বানিয়ে দিয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে ক্লাব বিশ্বকাপে গত তিন ম্যাচে ১০ গোল দিয়েছে তারা। এই আসরে একবারই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন আশরাফ হাকিমিরা। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোটাফিগোর কাছে একটি ম্যাচ হেরে গিয়েছিলেন। তবে ফাইনালের পথে তারা মেসির মায়ামি, হ্যারি কেনদের বায়ার্ন মিউনিখ, সিমিওনের অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়েছেন। ভারী ভারী নামের এই তালিকায় আজকের চেলসি বেশ সহজ প্রতিপক্ষ বলা যায়। তার পরও ফাইনাল বলে কথা, আক্রমণাত্মক কৌশল থেকে নিশ্চয়ই আজ সরে আসবেন না পিএসজির স্প্যানিশ কোচ। ৪-৩-৩ ফরমেশনে আক্রমণ ভাগে কাভারতাস্খেলিয়া, দেম্বেলে আর দুয়েকে দিয়েই শুরুর একাদশ সাজাবে পিএসজি। তাদের দুর্দান্ত মাঝমাঠে থাকবেন রুইজ, ভিতিনহা আর ফার্নান্দেজ। গোলপোস্টের চেনা সেনানী দেন্নারোমা।
চেলসির কোচ এঞ্জো মারেসকা অবশ্য কিছুটা রক্ষণাত্মক ৪-২-৩-১ ফরমেশনে মাঠ সাজাতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের সামনে তাঁর ভরসা ইংলিশ স্ট্রাইকার লিয়াম দিলাপ। রক্ষণে দেয়াল তাঁর কুক্কুরেলা, কোলউইল, চালোভা আর গুস্তোকে নিয়ে। ক্লাব বিশ্বকাপে ফাইনালে আসার পথে ইউরোপিয়ান ক্লাবের চেয়ে বেশি ব্রাজিলিয়ান দলকে হারিয়ে এসেছে চেলসি। পালমেইরাস, ফ্লুমেনেন্সিকে হারানোর আত্মবিশ্বাস দিয়েই আজ তাদের লড়তে হবে প্যারিসের দুর্দান্ত দলটির সঙ্গে।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0