Logo

পশু কোরবানিতে আহত ২ শতাধিক, মৌসুমি কসাইরাই আহত বেশি

চিকিৎসকরা বলছেন, অনেকেই সাধারণত মৌসুমি কসাই হওয়ায় বেশি আহত হয়েছেন।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: অসাবধানতা ও অনভিজ্ঞ অনেকে কোরবানি করতে গিয়ে আহত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার খবর পাওয়া গেছে।

এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন প্রায় দুই শতাধিক মানুষ।

চিকিৎসকরা বলছেন, অনেকেই সাধারণত মৌসুমি কসাই হওয়ায় বেশি আহত হয়েছে।

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে দীর্ঘ সারি দেখা যায়। পশু জবাই করতে গিয়ে আহত হয়েছেন এরা। ধারালো অস্ত্রে কারেও আঙুল কেটেছে, কারো আঘাত লেগেছে শরীরের বিভিন্ন অংশে। অনেকের রগও কেটে গেছে।

আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা একজন বলেন, ‘গরুর মাথা ধরেছি, হুজুর পোচ দিয়েছে আর সাথে সাথেই গরুর মাথাটা নড়ে গেছে। পরে ছুরিটা আমার হাতে লেগেছে। রগ কেটে গেছে। এক্সরে করেছি। এখন রিপোর্ট দেবে।’

ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যা শতাধিক। সময় যত গড়িয়েছে রোগীর চাপও বেড়েছে। বেশিরভাগ আহত রোগীই জানালেন, অনভিজ্ঞ হাতে কোরবানি করতে গিয়েই আহত হয়েছেন তারা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক জানান, ‘পশু কোরবানি দিতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতসহ গরুর শিংয়ের গুতা ও গরুর লাথি আঘাতে শিশু ও নারীসহ মোট ১২৫ জনকে হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।’

চিকিৎসকরা জানান, পশু কোরবানির এ মৌসুমে কসাইয়ের ঘাটতি থাকায় অনভ্যস্ত অনেকেই মাংস কাটায় অংশ নেন। তারাই দুর্ঘটনার শিকার হন।

নিটোরের সহকারী অধ্যাপক ডা. জীবানন্দ হালদার বলেন, ‘রগ কাটা, আঙুল কাটা, তারপর গিরা সরে যাওয়া এগুলোই পাচ্ছি বেশি। আমাদের দেশে যদি স্লোটার হাউজ থাকত, তাহলে এ ধরনের ক্যাজুয়ালটি কম হতো। কিন্তু আমরা তো রাস্তা ঘাটেই এসব করছি। এ কারণে ট্রেইন পারসন পাচ্ছি না।’

দুর্ঘটনা এড়াতে অনভিজ্ঞদের কসাইয়ের কাজ না করার পরামর্শও দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

বাংলাফ্লো/এনআর

Related Posts বাংলাদেশ

Leave a Comment

Comments 0