মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

একাদশ শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নাতি-নাতনিদের আবেদন বাতিলের নির্দেশ

অনেক শিক্ষার্থী নাতি-নাতনি পরিচয়ে আবেদন বা নিশ্চায়ন করায় তাদের আবেদন বাতিল করে নতুন করে আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন নিয়ে সতর্ক করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। বোর্ড জানিয়েছে, এ কোটায় কেবলমাত্র মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী নাতি-নাতনি পরিচয়ে আবেদন বা নিশ্চায়ন করায় তাদের আবেদন বাতিল করে নতুন করে আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ সংশোধন না করলে ভর্তি প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হলে বোর্ড কোনো দায় নেবে না বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

রোববার (৩১ আগস্ট) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০২৫’ এর উপধারা ৩.২ অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শুধু মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরাই আবেদন করতে পারবেন। ভর্তি সময় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র বা সরকারি গ্যাজেটের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে, পাশাপাশি মূল কপিও দেখাতে হবে। সঠিক প্রমাণক জমা দিতে ব্যর্থ হলে ভর্তি কার্যক্রম বাতিল করা হবে।

এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন করলেও তাদের মধ্যে কেউ কেউ নাতি-নাতনি। নীতিমালা অনুযায়ী তাদের এই কোটায় ভর্তির সুযোগ নেই। তাই যেসব শিক্ষার্থী ভুলক্রমে এ কোটায় আবেদন করেছেন, তাদের ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে আবেদন বা নিশ্চায়ন বাতিল করে পুনরায় আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড আরও জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন সংশোধন না করলে ভর্তি প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দিতে পারে, এর দায়ভার বোর্ড নেবে না।

উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ একাদশ শ্রেণিতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারি কলেজে মোট আসনের ৯৩ শতাংশ উন্মুক্ত থাকবে সকল শিক্ষার্থীর জন্য। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এবং ১ শতাংশ অধীনস্থ দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে সংরক্ষিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সেসব আসন মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে।

বাংলাফ্লো/সিএস

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0