বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আড়াই বছর পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি

খবরের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা কমেছে।

ফাইল ছবি

জেলা প্রতিনিধি

বেনাপোল: আড়াই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভারতীয় একটি ট্রাকে ১৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। খবরের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা কমেছে।

এই প্রথম চালানের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো বাগেরহাটের এসএম ওয়েল ট্রেডার্স, আর রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ন্যাশনাল ট্রেডিং করপোরেশন। বন্দর থেকে পেঁয়াজ খালাসের জন্য কাগজপত্র দাখিল করেছে সিঅ্যান্ডএফ লিংক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।

আমদানিকৃত পেঁয়াজের প্রতি মেট্রিক টন মূল্য ৩০৫ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭,৪২৯ টাকা। পেঁয়াজের মানভেদে বিক্রয়মূল্য ৬০ টাকার মধ্যে হতে পারে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর বলেন, এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার পেঁয়াজ আমদানিকে বন্ধ করেছিল। পরে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে ভারত। বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাড়াচ্ছিল দাম। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় এ খাদ্যদ্রব্যটি কিনতে গুনতে হচ্ছিল অতিরিক্ত টাকা। অবশেষে সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী শ্যামল কুমার নাথ জানান, আজ প্রথম চালানে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসএম ওয়েল ট্রেডার্স ১৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। পেঁয়াজের মান পরীক্ষা শেষে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

একটি সূত্রে জানানো হয়, প্রতি বছর দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৭–২৮ লাখ মেট্রিক টন। যদিও গত বছর উৎপাদন হয়েছে ৩২ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি। গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টন। তবু সিন্ডিকেটের কারণে বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে।

বাংলাফ্লো/সিএস


Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0