স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: ব্রাজিলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, নেইমার ২০২৬ বিশ্বকাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তবে তার আগে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি ‘ভাল শারীরিক অবস্থায়’ আছেন।
৭৯ গোল নিয়ে ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার শেষবার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। ওই সময় বাঁ হাঁটুর চোটে তিনি মাঠের বাইরে চলে যান।
৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড, যিনি এর আগে বার্সেলোনা ও পিএসজির জার্সিতে খেলেছেন, জানুয়ারিতে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফেরার পর থেকেই বারবার চোটে ভুগছেন। আনচেলত্তির দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুই দফা ব্রাজিল স্কোয়াডে তাকে রাখা হয়নি।
নেইমার অবশ্য দাবি করেছেন, সেপ্টেম্বরের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য দলে না থাকার কারণ ফিটনেস নয়, বরং কোচের ‘টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত’। তবে আনচেলত্তির মতে, নেইমারের প্রতিভা নয়, তার শারীরিক প্রস্তুতিই ঠিক করে দেবে তিনি দলে থাকবেন কি না।
আনচেলত্তি বলেন, ‘নেইমার কীভাবে খেলে সেটা দেখার দরকার নেই, সবাই জানে তার প্রতিভা। তবে আধুনিক ফুটবলে প্রতিভা কাজে লাগাতে খেলোয়াড়কে ভালো শারীরিক অবস্থায় থাকতে হবে। যদি নেইমার তার সর্বোচ্চ ফিটনেস ফিরে পায়, তবে দলে জায়গা পেতে কোনো সমস্যা হবে না। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা সবাই চাই নেইমার ভালো ফিটনেস নিয়ে জাতীয় দলে থাকুক। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি, বলেছি—তোমার সামনে যথেষ্ট সময় আছে নিজেকে প্রস্তুত করার এবং বিশ্বকাপে দলকে সেরা পারফরম্যান্সে সাহায্য করার। ’
আনচেলত্তি মনে করেন, বর্তমানে নেইমারের পক্ষে আর উইংয়ে খেলা সম্ভব নয়, বরং তাকে কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগে খেলতে হবে। তার ভাষায়, ‘আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। জুন মাসে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে হোটেলে এসেছিল, তখন আমরা বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেছি। সবকিছু পরিষ্কার—নেইমারকে আক্রমণভাগের মাঝখানে খেলতে হবে, হয় অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বা স্ট্রাইকার হিসেবে। আধুনিক ফুটবলে উইংয়ে খেলার জন্য প্রচুর শারীরিক শক্তির দরকার হয়, সেখানে নেইমার এখন আর মানানসই নয়। ’
ব্রাজিল ইতোমধ্যেই ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করেছে, তবে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব তারা হতাশাজনকভাবে পঞ্চম স্থানে শেষ করেছে—শেষ ম্যাচে বলিভিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে।
ব্রাজিলের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে আনচেলত্তি বলেন, ‘ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেওয়া বিশেষ কিছু। আমি এক বছরের চুক্তি করেছি। বিশ্বকাপের পর সবকিছু খোলা থাকবে। যদি সিবিএফ (ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন) চায়, আমার চালিয়ে যেতে কোনো সমস্যা নেই। আমি ও আমার পরিবার এখানে সুখী। ভবিষ্যতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া দারুণ হবে। ’
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0