মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী থিম সং ও ডকুমেন্টরি প্রদর্শনে মাউশির নির্দেশ

মাদকের কুফল সম্পর্কে প্রচার ও সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তুতকৃত একটি ডকুমেন্টরি ও থিম সং প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ফাইল ছবি

বাংলাফ্লো ডেস্ক

ঢাকা: মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রম জোরদারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী ডকুমেন্টরি ও থিম সং প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সপ্তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২১ জুলাই) মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক কাজী মো. আবু কাইয়ুমের সই করা এক চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মাদকের কুফল সম্পর্কে প্রচার ও সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তুতকৃত একটি ডকুমেন্টরি ও থিম সং প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ দুটি উপকরণ দেখানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এতে আরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা তথ্য গুগল ফর্মে জমা দেন৷ চিঠিতে একটি গুগল ডক লিংক (https://forms.gl/WkrL2CFc7RCSJugZ6) ও কিউআর কোডও সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বিষয়টিকে ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে চিহ্নিত করে আঞ্চলিক পরিচালকদের মাধ্যমে সব কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও প্রধানদের এই নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে।

এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশেপাশে মাদক বিক্রি বন্ধে মাঠ প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক গঠিত কমিটিগুলোর কার্যক্রম আরও সক্রিয় ও দৃশ্যমান করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের অপপ্রচার মোকাবিলায় কুরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তখন পরীক্ষামূলকভাবে কিছু স্কুল ও কলেজে এ কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে সফলতার অভিজ্ঞতা থেকে তা দেশব্যাপী বিস্তৃত করা হয়। ধারাবাহিকভাবে কমিটির কাঠামো নির্ধারণ, শিক্ষক-অভিভাবকদের সম্পৃক্ততা ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়।

বাংলাফ্লো/আফি

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0