মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিসিবির দায়িত্ব নিয়েই দুর্নীতি দূর করার হুঙ্কার মার্শালের

গতকাল ঢাকায় এসে আজই (মঙ্গলবার) দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। এরপর মার্শাল জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে দুর্নীতি দূর করতে তিনি বদ্ধপরিকর।

ছবি: সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা: বিপিএলের সর্বশেষ আসরে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। যা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। এসব বিষয়ে আরও স্বচ্ছতার জন্য বিসিবি সম্প্রতি আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের হয়ে কাজ করা অ্যালেক্স মার্শালকে নিয়োগ দিয়েছে। গতকাল ঢাকায় এসে আজই (মঙ্গলবার) দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। এরপর মার্শাল জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে দুর্নীতি দূর করতে তিনি বদ্ধপরিকর।

ক্রিকেটার ও বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্শাল বলেন, ‘সবখানে এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হচ্ছে, যেখানে সহজেই দুর্নীতিবাজরা সুযোগ পেয়ে যায়। বিপিএল জনপ্রিয় একটি লিগ। এখানে সবকিছু হতে হবে উঁচু মানের, পেশাদার ও সুরক্ষিত। বিশ্বের যেকোনো জায়গাতেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ সুরক্ষিত হওয়া উচিত। বিপিএলেও এটা নিশ্চিত করার জন্য আমি কাজ করব।’

ক্রিকেটারদের নীতি ঠিক রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ অ্যালেক্সের, ‘আজ আমার প্রথম দিন। বিসিবির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। খুব গুরুত্ব সহকারে আমাদের সভা হয়েছে, যেখানে সবার সমর্থন পেয়েছি। সমর্থকরা যেন সঠিক ক্রিকেট দেখতে পারেন এবং খেলোয়াড়রা যেন সুরক্ষিত থাকে সেদিকেই আমার মনোযোগ। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমি বোর্ড ও প্রেসিডেন্টের (আমিনুল ইসলাম বুলবুল) সঙ্গে কাজ করছি। ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে সব সাজিয়ে আমি বোর্ডকে দেখাব। তবে দীর্ঘস্থায়ী শিক্ষা ও সুরক্ষা প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি প্রেসিডেন্ট ও বোর্ডের সঙ্গে কাজ করতে, মূলত সততা নিশ্চিতের কাজ দেখভাল করব। এই শতকের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ে উঠেছে। সমর্থকরা মাঠে যে খেলাটা দেখেন তা প্রবলভাবে বিশ্বাস করেন এবং যে নারী-পুরুষ ক্রিকেটাররা দেশের হয়ে খেলেন তারা এই খেলাটাকে কলুষতামুক্ত রাখেন। তবুও নিরাপত্তা জোরদার করার জায়গা আছে, কারণ সবসময় এখানে কলুষতার সম্ভাবনা থাকে। পুরো বিশ্বেই তারা সুযোগ খুঁজে বেড়ায়। তারা চেষ্টা করে খেলোয়াড়দের হাত করতে, যাতে তারা ভালো না খেলে।’

দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে প্রয়োজনীয় বিষয় শেখাবেন অ্যালেক্স মার্শাল, ‘আমি নিশ্চিত করতে চাই, বাংলাদেশের হয়ে যে নারী ও পুরুষ ক্রিকেটাররা খেলেন, তারা যেন সুরক্ষিত থাকেন। প্রেসিডেন্ট, সিইও ও বোর্ড মেম্বারদের (পরিচালক) সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। আমরা ইনটেগ্রিটি ইউনিটকে নতুন করে সাজাব। আমাদের লক্ষ্য হলো সবাইকে (দুর্নীতি প্রতিরোধের বিষয়ে) শিক্ষিত করে তোলা এবং তারা যাতে বুঝে কী করতে হবে। তারা যেন সচেতন হয়ে ওঠে এবং দুর্নীতিবাজরা সুযোগ করতে না পারে।’

বাংলাফ্লো/এসও

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0