মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

খালেদা জিয়া রাজনীতিতে পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেনি: মঈন খান

স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সেই পথ থেকে বারবার বিচ্যুতি ঘটেছে।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সেই পথ থেকে বারবার বিচ্যুতি ঘটেছে। ড. মঈন আরও বলেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেননি, সম্মুখ দিয়ে তিনি বিরোধীদলের নেতৃত্বে থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।’

শনিবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘তারেক রহমানের রাজনীতি : গণঅভ্যুত্থানের সাবলিমিটি’ বই প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মঈন খান বলেন, ‘প্রথম ছন্দপতন হয়েছিল ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করলেও মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিয়েছিল। স্বাধীনতার দুটি উদ্দেশ্য ছিল—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু বারবার সেই পথে ছন্দপতন ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্ম যদি ক্যান্টনমেন্টে না হয়ে থাকে, তাহলে কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের পর গণতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিল—এ প্রশ্ন তুলতে হবে।’

ভোটাধিকারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তরুণ যুবকেরা, যারা ১৮ বছর বয়সে ভোটের অধিকার পায়, তারা গত ২০০৯ থেকে ২০২৫, দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের মৌলিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আজকে তারা ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।’

তরুণদের ভূমিকা নিয়ে মঈন খান বলেন, ‘গুটিকয়েক তরুণ ছাত্র যারা সরকারের অংশ হয়ে ভাবছে, তাদের চিন্তা দেশের বাকি তরুণদের মতো নয়। সারা দেশের তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে ভুলে গিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব নয়।’

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কোটি কোটি মানুষ সরকারের কার্যক্রমে কেন হতাশ, সেই প্রশ্ন আজ দেশের সামনে। যদিও দেরিতে হলেও নির্বাচনের সময় ঘোষণার পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।’

সবশেষে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্রের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে বিএনপি কাজ করে যাবে।’

আলোচনাসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. লিয়াকত আলী, অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আমীরুল ইসলাম।

বাংলাফ্লো/সিএস

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0