আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: গতকাল সোমবার (০৭ জুলাই) কাতারের রাজধানী দোহায় ফের বৈঠকে বসেছে ইসরায়েল ও গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রনকারী গোষ্ঠী হামাসের প্রতিনিধিরা। ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
“স্থানীয় সময় দুপুরে দোহায় হামাস এবং ইসরয়েলি প্রতিনিধিদের মধ্যে ফের সংলাপ শুরু হওয়ার সূচি ছিল। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ঠিক সময়েই আলোচনা শুরু হয়েছে”, টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেন ওই কর্মকর্তা।
গত কয়েকদিন ধরেই গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । গত রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি বলেছেন, চলতি সপ্তাহেই গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে বলে আশা করছেন তিনি।
এর আগে গত সপ্তাহে গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাবনা ইসরায়েল, হামাস এবং মধ্যস্থতাকারী দুই দেশ মিসর ও কাতারকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। খসড়ার অনুলিপি পাওয়ার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, তিনি ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি। নেতানিয়াহুর পর হামাসের হাইকমান্ড জানায় যে তারাও মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবকে ইতিবাচক বলে বিবেচনা করছে।
চুক্তির বিভিন্ন শর্ত নিয়ে আলোচনা এবং মধ্যে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে গতকাল রোববার কাতারের রাজধানী দোহায় দু’টি পৃথক ভবনে হামাস ও ইসরায়েলের সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন মিসর ও কাতারের কর্মকর্তারা।
তবে রোববার প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে সংলাপের পরও কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয় যুদ্ধবিরতি সংলাপ। তাই আজ ফের শুরু হলো সংলাপ।
এমন এক সময় এ আলোচনা চলছে, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওয়াশিংটনে গিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আজ সোমবার তাদের বৈঠক হওয়ার কথা আছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকটি যুদ্ধবিরতি ও গাজায় আটক অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে অগ্রগতির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে আশা করেন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অর্জনের জন্য তিনি তার আলোচকদের ‘পরিষ্কার নির্দেশনা’ দিয়েছেন, যা ইসরায়েলের পক্ষে গ্রহণযোগ্য।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল
বাংলাফ্লো/আফি
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0