রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

উল্টো পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র? সিরিয়ায় আরও মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম

সিরিয়ায় আসাদ-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা সুসংহত না হওয়ায় এবং বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো এখনই সেনা প্রত্যাহারের ঝুঁকি নিতে চাইছে না।

ছবি-সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক 

ঢাকা: সিরিয়ায় তাদের সামরিক উপস্থিতি একটি মাত্র ঘাঁটিতে সীমিত করার পরিকল্পনার কথা মার্কিন কর্মকর্তারা জানালেও, বাস্তব চিত্র যেন ঠিক তার উল্টো কথা বলছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, ইরাক থেকে একের পর এক মার্কিন সামরিক কনভয় উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আল-হাসাকা প্রদেশে প্রবেশ করছে, যা এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ওয়াশিংটন সিরিয়ায় তাদের সামরিক উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে এবং শুধুমাত্র একটি ঘাঁটিতে তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখবে। কিন্তু, সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টি সামরিক সরঞ্জাম বোঝাই ট্রাক ইরাকের কুর্দিস্তান থেকে সিরিয়ার আল-হাসাকা প্রদেশের কাসরোক ঘাঁটিতে প্রবেশ করে।

এরই ধারাবাহিকতায়, আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) একটি কার্গো বিমানের মাধ্যমে আরও সামরিক ও লজিস্টিক সরঞ্জাম রমেলান শহরের নিকটবর্তী খারাব আল-জির বিমানঘাঁটিতে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই আপাত স্ববিরোধী পদক্ষেপের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে:

সিরিয়ায় আসাদ-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা সুসংহত না হওয়ায় এবং বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো এখনই সেনা প্রত্যাহারের ঝুঁকি নিতে চাইছে না।

যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর পুনরুত্থান রোধ করতে চায় এবং এর জন্য স্থানীয় সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-কে সমর্থন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

সম্প্রতি, ইরান-সমর্থিত একটি সিরীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠী প্রথমবারের মতো হাসাকার কাছে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার দাবি করেছে, যা এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায়, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তাদের সামরিক উপস্থিতি আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।

সব মিলিয়ে, সিরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ ভূমিকা এখনও বেশ অস্পষ্ট। একদিকে যেমন সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে সামরিক সরঞ্জাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে, যা এই অঞ্চলের জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকেই তুলে ধরে।


বাংলাফ্লো/এফআইআর

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0