আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান ও কাতার। তেহরান এ ঘটনাকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক ও অপরাধমূলক’ কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাকাই রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলেন, “এ হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও বিধি-বিধানের প্রকাশ্য লঙ্ঘন। এটি কাতারের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার গুরুতর অবমাননা।”
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, “আবাসিক ভবনে এ হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। এটি সব আন্তর্জাতিক আইন ও নীতির প্রকাশ্য লঙ্ঘন এবং কাতারবাসী ও বিদেশি বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দফতর জানিয়েছে, দোহায় এ হামলা সম্পূর্ণ ইসরায়েলের স্বাধীন সামরিক অভিযান ছিল। দফতর জানায়, “ইসরায়েল এটি শুরু করেছে, পরিচালনা করেছে এবং এর পূর্ণ দায়ভারও নিচ্ছে।” তবে বিবৃতিতে সরাসরি দোহা বা কাতারের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো এ ঘটনায় মন্তব্য করেছে। দোহায় মার্কিন দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানায়, তারা মিসাইল হামলার খবর পেয়েছে এবং দূতাবাসে আশ্রয় ব্যবস্থা জারি করেছে। কাতারে থাকা মার্কিন নাগরিকদেরও সতর্ক হয়ে আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হামাসের এক সূত্রের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসা হামাস নেতাদের লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলের কট্টর দক্ষিণপন্থী মন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ বলেন, “সন্ত্রাসীদের জন্য পৃথিবীর কোথাও কোনও নিরাপদ আশ্রয় থাকবে না।” বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ায়ির লাপিদও হামলাকে স্বাগত জানিয়ে ইসরায়েলি সেনা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজায় টানা বিমান হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনেও হামলা চালাচ্ছে। সোমবার টিউনিসিয়ার বন্দরে অবস্থানরত গাজাগামী একটি মানবিক ত্রাণজাহাজেও সন্দেহভাজন ইসরায়েলি ড্রোন হামলা চালানো হয়। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0