এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: হাত-পা থরথর করে কাঁপছিল, গলা শুকিয়ে আসছিল, নিজের হৃদস্পন্দন যেন নিজের কানেই শুনতে পাচ্ছিলেন তিনি। রাত তখন প্রায় ১২টা। তবুও সাহস সঞ্চয় করে হোটেলের দরজা খুলে তিনি সোজা চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহের কাছে এবং বললেন, “একটু আমার রুমে আসবেন…”
সম্প্রতি এক পডকাস্টে অভিনেত্রী বিদ্যা বালান ঠিক এভাবেই বর্ণনা করছিলেন তাঁর জীবনের এক স্মরণীয় রাতের কথা। যে রাতে একই হোটেল রুমে ছিলেন তিনি এবং নাসিরউদ্দিন শাহ। তবে এই ঘটনার পেছনে কোনো স্ক্যান্ডাল নয়, লুকিয়ে ছিল একজন অভিনেত্রীর চরম পেশাদারিত্ব এবং ভয় কাটানোর এক অভিনব উপায়।
বিদ্যা জানান, ঘটনাটি ঘটেছিল ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ (২০১১) সিনেমার শুটিংয়ের সময়। সিনেমায় নাসিরউদ্দিন শাহের সঙ্গে তাঁর একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ছিল। এর আগে কখনও নাসিরের মতো একজন কিংবদন্তি অভিনেতার সঙ্গে এমন দৃশ্যে অভিনয় না করায়, বিদ্যা মারাত্মক টেনশনে ভুগছিলেন।
তিনি বলেন, “ডার্টি পিকচারের এই অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুট নিয়ে আমি খুবই টেনশনে ছিলাম। আসলে, বিপরীতে নাসিরজির মতো অভিনেতা থাকায় টেনশনটা আরও তিনগুণ হয়েছিল।”
এই ভয় কাটানোর জন্যই বিদ্যা এক অভিনব পরিকল্পনা করেন। তিনি ভাবেন, শুটিংয়ের আগের দিন রাতে যদি নাসিরউদ্দিন শাহের সঙ্গে দৃশ্যটি নিয়ে একটু মহড়া বা প্র্যাকটিস করে নেওয়া যায়, তাহলে হয়তো ভয়টা কেটে যাবে।
সেই মতো, তিনি মাঝরাতে নাসিরের কাছে গিয়ে তাঁকে তাঁর রুমে আসার অনুরোধ জানান। বিদ্যা বলেন, “নাসিরজিও আমার কথা শুনে রাজি হয়ে যান। সেই রাতে বহুবার দুজনে সংলাপ বলেছি। দৃশ্যের মহড়া দিয়েছি।”
নাসিরউদ্দিন শাহের এই সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বিদ্যা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বলেন, “নাসিরজি যদি সেদিন আমার রুমে না আসতে রাজি হতেন, তাহলে দৃশ্যটা হয়তো অভিনয় করতেই পারতাম না।” বিদ্যার এই গল্পটি শুধু তাঁর নিজের ডেডিকেশন-কেই নয়, নাসিরউদ্দিন শাহের মতো একজন সিনিয়র অভিনেতার সহশিল্পীর প্রতি সংবেদনশীলতা এবং সহযোগিতার এক দারুণ উদাহরণ।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0