বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: হাইকোর্ট প্রবাসী শ্রমিকদের সংখ্যা, অবস্থান ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন আগামী তিন মাসের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত একইসঙ্গে জানতে চেয়েছে, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩ এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আইন ২০১৮ এবং আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী প্রবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে হবে না। এছাড়া, প্রবাসীদের তদারকির জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ সেল গঠনের প্রয়োজনীয়তাও কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিটের প্রাথমিক শুনানি সোমবার (২৫ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হয়। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাশেদুল হক খোকন ও রিটকারী আইনজীবী আইনুল ইসলাম বিশাল।
রিটটি ১০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে দায়ের করা হয়। এতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়, প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। বিদেশে তারা অমানবিক পরিশ্রম, শোষণ ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন, আবার স্থানীয় নিয়োগ সংস্থাও তাদের শোষণ করছে। সরকারের তদারকির অভাবে অনেক শ্রমিক প্রতারক চক্রের হাতে নিঃস্ব হচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম রেমিট্যান্স উপার্জনকারী দেশ।
রিটকারী আইনজীবী আইনুল ইসলাম বিশাল বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য জনস্বার্থে এই মামলাটি করা হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ এবং ‘দ্য ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড অ্যাক্ট, ২০১৮’ এর কিছু ধারা অকার্যকর অবস্থায় আছে। সেগুলো কার্যকর চেয়েছি। আদালত রুল ও আদেশ দিয়ে সারা বিশ্বে আমাদের কতজন ইমিগ্রেন্ট ওয়ার্কার আছে এবং তারা কী অবস্থায় আছেন সেই বিষয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে জানানোর জন্য বলেছেন। আশা করি রিটটি নিষ্পত্তি হওয়ার পর প্রবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ভোগান্তি লাঘব হবে।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0