বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির দায়ের করা চারটি আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। দীর্ঘদিন আলোচিত এ মামলার নতুন করে শুনানি শুরুর ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গ সামনে আসলো।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি চারটি আবেদন একসঙ্গে শুনানি শুরু হলেও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তা মুলতবি করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দিয়ে সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এ বিষয়ে আপিল করা হলে, ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপ ঘটায়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং দল রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
একই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৬ অক্টোবর আবেদন করেন। পরে ২৩ অক্টোবর আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এছাড়া নওগাঁর রানীনগরের মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0