বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: মানুষ ও হাতির সহাবস্থানকে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সহজে ও দ্রুত ক্ষতিপূরণ পান, সে জন্য সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সহজ করা ও সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাতে মানুষ ও বন্য হাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে করণীয় নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, হাতির টিকে থাকার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য স্থানীয়দের মধ্য থেকে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমকে আরও সক্রিয় করতে হবে এবং তাদের ওয়াকিটকি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিতে হবে। একইসঙ্গে হাতির খাদ্যোপযোগী গাছ লাগানো জরুরি।
তিনি আরও বলেন, বোরো মৌসুমে বিশেষ ব্যবস্থায় অতিরিক্ত জনবল পদায়ন করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করতে হবে।
এছাড়া হাতি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের নির্দেশ দেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সতর্ক করে তিনি বলেন, হাতির কাছে গিয়ে টিকটকসহ যেকোনও ধরনের ভিডিও করা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
সভায় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. রকিবুল হাসান মুকুল, শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আলী রেজা খান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্লাহ পাটোয়ারী, হাতি সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক এ. এস. এম. জহির উদ্দিন আকনসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0