বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
গাইবান্ধা: সুন্দরগঞ্জের হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতুর নামকরণ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আন্দোলনের পথপ্রদর্শক শরিতুল্যাহ মাস্টারের নামে করার দাবি গাইবান্ধাবাসীর। এ দাবিতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
রবিবার (২০ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আয়োজক ‘শরিতুল্যাহ মাস্টার তিস্তা সেতু নামকরণ বাস্তবায়ন কমিটি’র নেতারা বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে একক প্রচেষ্টায় শরিতুল্যাহ মাস্টার সেতুর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। উপহাস, প্রতিকূলতা আর দীর্ঘ ৩০ বছরের সংগ্রাম শেষে আজ সেই সেতু বাস্তবায়িত হয়েছে। এই সেতু শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থাই বদলে দিচ্ছে না, বরং গোটা অঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে দেবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামীম মণ্ডল, সদস্য সচিব শাহীন মিয়া, শিক্ষক শরিফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী জিল্লু হাকিম, ডা. ফুয়াদ ইসলাম ও শিক্ষার্থী রত্ন প্রমুখ।
কলেজ শিক্ষক আনোয়ার জাহিদ বলেন, শরিতুল্যাহ মাস্টার শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি ছিলেন এলাকার উন্নয়নের রূপকার।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার আশিকুর রহমান ইমন বলেন, তার (শরিতুল্যাহ মাস্টার) কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ ছিল না। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন সবার চলাচলের স্বাধীনতার।
মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, শরিতুল্যাহ মাস্টারের অবদানকে সম্মান জানাতে সেতুর নাম ‘শরিতুল্যাহ মাস্টার তিস্তা সেতু’ করা হোক। মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাস্তবায়িত হরিপুর-চিলমারী দ্বিতীয় তিস্তা সেতু দেশের বৃহৎ একটি প্রকল্প। চীনা কোম্পানির নির্মিত এই ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ সেতুর ব্যয় ৯২৫ কোটি টাকা। উত্তরাঞ্চলের মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত এই সেতুটি আগামী ২ আগস্ট চালু হতে যাচ্ছে। সেতুটি চালু হলে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকার দূরত্ব কমবে ১৩৫ কিলোমিটার।
বাংলাফ্লো/আফি
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0