জেলা প্রতিনিধি,
রাঙামাটি: চট্টগ্রামে বন উজাড়ের দায় এড়াতে পারে না বন বিভাগ-এমন মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
শনিবার (২ আগস্ট) সকালে রাঙামাটি শহরের জিমনেসিয়াম মাঠে ৭ দিনের বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা করেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘আশির দশকে পার্বত্য চট্টগ্রাম যে গাছ, বাঁশগুলো দাঁড়িয়ে ছিল, সেগুলো একটিও নেই। আশির দশক পরবর্তী পার্বত্য চট্টগ্রামের বনায়ন ধ্বংস হয়ে গেছে। বন নির্ভর কাপ্তাই কর্নফুলী পেপার মিলটি চালু করণের অবস্থা আমি দেখি না। তবুও আমি বলেছি চালু করা যায় কিনা দেখেন। অন্তত কিছু মানুষের হলেও কর্মসংস্থান হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাহাড়ে বনের এ অবস্থার জন্য এ এলাকার মানুষজন প্রত্যেকে কম বেশী দায়ী। এ ক্ষেত্রে বন বিভাগও কম দায়ী নয়।’
পার্বত্য এলাকার বন সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী এমনটি সিলেটেও পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বেশী বনভূমি দেখা যায়। সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বন কই? পার্বত্য চট্টগ্রামের এ অবস্থা হলো কেন?’
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উদ্ভিদ চিহ্নিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন,‘যেসব গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতি করছে সেটা নিয়ে একটা জরিপ করা দরকার। কোনো জরিপ ছাড়া কথা বলা হচ্ছে, কখনো জুম চাষ ক্ষতি, আদা হলুদ লাগানো যাবে না- এসমস্ত অনেক অবৈজ্ঞানিক কথা বলা হয়। শুধু বললে হবে না, এ থেকে উত্তোরণের পথও বের করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল সরকার, রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. নুয়েন খীসা এবং রাঙামাটি পুলিশ সুপার এম ফরহাদ হোসেন। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেনসহ বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ বৃক্ষমেলা চলবে আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত ।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0