স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: বুধবার (২৮ মে) রাত থেকেই গুঞ্জন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পরিবর্তে বিসিবি সভাপতি হচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বিসিবি সভাপতির দায়িত্বে পরিবর্তন চান বলে ফারুক আহমেদকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে বিসিবি সভাপতি সময় চেয়েছেন সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য।
বুধবার (২৮ মে) রাত পর্যন্ত এটুকুই জানা গেছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ফারুক আহমেদ স্পষ্ঠ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না।
জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে ফারুক আহমেদ তাঁর পদত্যাগ না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে ফারুক ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘উপদেষ্টা (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের) আমাকে পদত্যাগ করতে বলেননি কিন্তু আমি চালিয়ে যাই এটা তাঁরা চান না। তবে আমি পদত্যাগ করব না কারণ আমি একজন নির্বাচিত সভাপতি।’
এদিকে বিসিবির নতুন দায়িত্ব আসার জন্য সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। এই ব্যাপারে ক্রিকইনফোকে বুলবুল বলেছেন, ‘(ক্রীড়া) উপদেষ্টার অফিস কয়েক সপ্তাহ আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, আমাকে বাংলাদেশে একটি দায়িত্ব পালনের জন্য আসতে বলা হয়েছে। আমি প্রস্তাবে রাজি হয়েছি। আমি বিসিবিতে বেশি দিন থাকতে চাই না। আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি আবেগের বশে কথা বলছি, কিন্তু যখন কোনো দেশের একজন সৈনিকের প্রয়োজন হয়, তখন তিনি তার বেতন বা স্বার্থের কথা ভাবেন না। জাতির সেবা করাই প্রথম অগ্রাধিকার। আমারও একই মানসিকতা। আমি বিসিবিতে যেকোনো ভূমিকা নিতে প্রস্তুত।’
গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডে থাকা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত দুই পরিচালক জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
তাঁদের পরিবর্তে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ এবং ক্রিকেট কোচ নাজমূল আবেদীনকে এনএসসির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। পরিচালকদের ভোটে নিয়ম মেনেই বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক।
ফারুক আহমেদের পরিবর্তে সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে তিন মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি করার গুঞ্জন দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বিসিবি সভাপতি না চাইলে তাঁকে জোর করে পদত্যাগ করানো যাবে না। সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষ তাকে সরিয়ে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। এমনটি করা হলে আইসিসি থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা নেমে আসতে পারে। কারণ আইসিসি কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ সমর্থন করে না।
বাংলাফ্লো/এসও
Comments 0