স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা:গত ইউরোপার ফাইনালটা মনে আছে? মুখোমুখি হয়েছিল ইতালির আতালান্তা আর জার্মানির বায়ার লেভারকুসেন। গতবার বায়ার্নের রাজত্ব কেড়ে রুপকথার সাফল্যে বুন্দেসলিগা জিতেছিল লেভারকুসেন। আর সিরি ‘এ’তে আতালান্তা ছিল চার নম্বরে।

আজ বুধবার (২১ মে) স্পেনের বিলবাওয়ে আরেকটি ইউরোপা ফাইনালে মুখোমুখি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহাম। ইংলিশ দুই দলের ফাইনাল নিয়ে যেখানে ইংল্যান্ডে মাতামাতি থাকার কথা সেখানে খোদ বিবিসি পর্যন্ত লিখেছে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে জঘন্যতম ফাইনাল এটাই!

কারণও আছে। এবারের প্রিমিয়ার লিগে ইউনাইটেডের অবস্থান ১৬ নম্বরে আর টটেনহাম আছে ১৭-তে। দুই দলই রেলিগেশনটা এড়িয়েছে কোনোরকমে। নিজেদের লিগে এতটা পিছিয়ে থাকা দুই দল আর কখনও মুখোমুখি হয়নি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরোপা, কনফারেন্স লিগ, ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপ বা ইন্টার-সিটি ফেয়ার্স কাপের মতো ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের টুর্নামেন্টে।

সর্বশেষ ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে ইন্টার মিলান যেবার উয়েফা কাপ জিতেছিল, সেবার সিরি ‘এ’তে তাদের অবস্থান ছিল ১৩ নম্বরে। এর চেয়ে পিছিয়ে থাকা আর কোনো দল জিততে পারেনি ইউরোপের কোনো ক্লাব টুর্নামেন্ট।

নিজেদের লিগে ১২ নম্বরে থেকে তিনটি দল জিতেছে ইউরোপের তিনটি শিরোপা। ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে আর্সেনাল জিতেছিল ইন্টার-সিটি ফেয়ার্স কাপ, শালকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমের উয়েফা কাপ আর সেভিয়া ২০২২-২৩ মৌসুমের ইউরোপা লিগ।

টটেনহাম কোচ অ্যাঞ্জে পোস্তেকগ্লুও ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ আমোারিম।

এখন ইউরোপা চ্যাম্পিয়ন হলে টিকিট পাওয়া যায় পরের মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে। তাই আজ বিলবাওয়ে ম্যানইউ-টটেনহামের যারাই জিতুক, তারা চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলবে পরের মৌসুমে।

এই দুই দলের কারণে নিয়মটারই পরিবর্তন চাইলেন আর্সেনালের সাবেক কিংবদন্তি কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার, ‘‘আমার মনে হয় ইউরোপা লিগ জয়ীদের পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে দেওয়া ঠিক নয়। তাদের সর্বোচ্চ পরের মৌসুমে ইউরোপা লিগে থাকার ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে।’’

চলতি মৌসুমে টটেনহাম তিনবারের দেখায় তিনবারই হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। তারপরও টটেনহাম এতটাই অধারাবাহিক যে অপ্টার সুপার কম্পিউটারে আজকের ফা্ইনালে তাদের জয়ের সম্ভাবনা দেখাচ্ছে ৫০.৩ শতাংশ!

বাংলাফ্লো/এসও