বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের আন্দোলনের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের সঙ্গে শিশুসুলভ আচরণ করেছে। আমাদের জমা দেওয়া ৯৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি শিক্ষামন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছিল। কিন্তু পরে তারা জানান যে, প্রতিবেদনটি নাকি মন্ত্রণালয় থেকে হারিয়ে গেছে। একটি দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়ের এমন দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডের আমরা নিন্দা জানাই।
সোমবার (১৯ মে) কলেজ ছাত্র সংসদের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার পক্ষ থেকে নানা সময়ে বিভিন্ন ধরনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই আশ্বাসগুলোর বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাইনি।
এ সময় তারা আরও বলেন, তারা আরও বলেন, ‘সেন্ট্রাল’ নামক যে অবকাঠামোর সঙ্গে আমাদের জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, এই সরকার শহীদ মামুনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আমরা চাই, এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকুক। যেমন আমরা সরকারকে সহায়তা করছি, তেমনি আশা করি সরকারও আমাদের দাবিগুলো দ্রুত মেনে নেবে।
পরাজিত ফ্যাসিস্ট সরকারের ছায়া অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করে রাষ্ট্র ও শিক্ষা সিন্ডিকেটের প্রেসক্রিপশনে চাপিয়ে দেওয়া এই কথিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাব সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এ সময় তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার যদি আমাদের দাবিগুলো দ্রুত না মানে, তাহলে আমরা পূর্বের চেয়েও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবো। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তাদের ৬ দফা দাবি হলো:
১। তিতুমীর কলেজের জন্য স্বতন্ত্র কাঠামো গঠন করে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে।
২। জমি বরাদ্দ দিতে হবে।
৩। আবাসন সংকট নিরসন করতে হবে।
৪। শিক্ষক সংকট সমাধান করতে হবে।
৫। আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার ও গ্রন্থাগার নির্মাণ করতে হবে।
৬। সহশিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে তিতুমীর ঐক্যের উপদেষ্টা আলী আহমদ বলেন, আমরা কর্মসূচি দেবো দেবো বলেও দিচ্ছি না, কারণ আমরা সরকারকে সময় দিচ্ছি। এই সরকারকে আমরা বসিয়েছি, তাই আমরা সরকারকে চাপে ফেলতে চাই না।
তিতুমীর ঐক্যের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর ৩৫ হাজার মত থাকতে পারে। কিন্তু তিতুমীরের স্বতন্ত্রীকরণের প্রশ্নে আমরা সবাই একমত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তিতুমীর ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক বেল্লাল আহমদ, সদস্য রায়হান, উপদেষ্টা আলী আহমদ ও গোলাম কিবরিয়া মোয়াজসহ অন্যান্যরা।
বাংলাফ্লো/এসবি
Comments 0