Logo

ঢাকা ব্লকেডের হুঁশিয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁদের পাঁচ দফা দাবি মেনে না নিলে নতুনবাজার সড়কে অবরোধ চলবে।

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: উপাচার্য ও একজন বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে গড়ে ওঠা ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় কয়েক জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আজ শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীর নতুনবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা।

এদিকে পুলিশের লাঠিচার্জে কিছু সময়ের জন্য সড়ক ফাঁকা হলেও ফের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নেন। এতে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডাগামী সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শনিবার (২১ জুন) বেলা সোয়া ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁদের পাঁচ দফা দাবি মেনে না নিলে নতুনবাজার সড়কে অবরোধ চলবে।

পাশাপাশি দাবি না মানা হলে রোববার থেকে পুরো ঢাকায় ব্লকেড কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি—

ক. অন্যায়ভাবে সকল বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

খ. বহিষ্কার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সকল ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

গ. বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম-অসুবিধা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে রিফর্ম দাবিসমূহ বাস্তবায়ন করতে হবে।

ঘ. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।

ঙ. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল করতে হবে।

এর আগে, আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে নতুনবাজার মোড়ে অবস্থান নিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি উপাচার্য ও একজন বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় কয়েক জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেসব শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা।

এদিকে, দুই পাশের সড়ক অবরোধ থাকায় কর্মস্থলগামী এবং বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে চাওয়া লোকজন যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে যাচ্ছেন।

গত এপ্রিলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউআইইউয়ের উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। ২৮ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস চালু হয়। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে সরাসরি ক্লাস ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলন দমন করতে কয়েক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বাংলাফ্লো/এনআর

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Related Posts বাংলাদেশ

Leave a Comment

Comments 0