বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হোমিও চিকিৎসকদের নামে ‘ডাক্তার’ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহারে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহারসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে হোমিওপ্যাথিক স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটি।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহারে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহারসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে হোমিওপ্যাথিক স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটি।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ডা. মো. আরিফুর রহমান মোল্লা। তিনি জানান, গত ১০ আগস্ট স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব সই করা “বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২৯ (১) অনুসরণপূর্বক ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত” একটি পত্র জারি হয়।

ওই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে পাসকৃত ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২৩’ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহারের আইনগত অনুমোদন রয়েছে। অথচ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে হাইকোর্টের রায়ের উল্লেখ রয়েছে। এটি বিভ্রান্তিকর। কেননা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সেটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ১২ ধারাতেও ‘চিকিৎসক অর্থ এমবিবিএস ও বিডিএস, নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এবং ভেটেরেনারি চিকিৎসক’ হিসেবে গণ্য হবেন বলে উল্লেখ রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব সই করা ওই পত্রের সর্বশেষ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভাগ, অধিদপ্তর, দপ্তর ও সংস্থাসমূহে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ ও হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রীধারী ব্যতীত অন্যান্য পেশাজীবীদের (হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি) নামের পূর্বে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো’। এ নির্দেশনা পরস্পরবিরোধী, অসামঞ্জস্য ও সাংঘর্ষিক।”

এর পর তিনি ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—

১. ১০ আগস্টের নির্দেশনা প্রত্যাহার এবং হোমিও চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখা নিয়ে হয়রানি বন্ধ করা।

২. হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২৩ দ্রুত কার্যকর ও শিক্ষা কাউন্সিল গঠন।

৩. বেসরকারি হোমিও মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরতদের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী শতভাগ বেতন-ভাতা প্রদান।

৪. বিদেশ থেকে মানসম্মত ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করা।

৫. জাতীয় পর্যায়ে গবেষণাগার স্থাপন ও সরকারি কলেজে গবেষণা কেন্দ্রের জনবল বাড়ানো।

৬. প্রকল্পভুক্ত হোমিও চিকিৎসকদের পদ রাজস্ব খাতে স্থানান্তর।

বাংলাফ্লো/সিএস

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0