স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: কাতার বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর প্রধান কোচ তিতে যখন বিদায় নিলেন, তখন থেকেই কার্লো আনচেলত্তির পিছু নিয়েছিল ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)। সদ্য বিদায়ী রিয়াল মাদ্রিদ কোচকে তখন পাওয়া সম্ভব ছিল না। দীর্ঘ অপেক্ষার পর দরিভাল জুনিয়রকে কোচ করা হয়। কিন্তু এই ব্রাজিলিয়ানের অধীনে দলের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। অবশেষে ২০২৬ বিশ্বকাপের বছর দেড়েক আগে কার্লো আনচেলত্তিকেই পেল ব্রাজিল।
গত দুই দশকে ফুটবল বিশ্বে ব্রাজিলের শাসন ক্রমশ কমেছে। ব্রাজিলীয় ফুটবলের অধঃপতন হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা দুই টি কোপা আমেরিকা জিতলেও একের পর এক বিশ্বকাপে হতাশ করেছে। গত পাঁচ বিশ্বকাপের মধ্যে তারা সেমিফাইনালে উঠেছে মাত্র একটিতে। তাও ২০১৪ সালে নিজের দেশের মাটিতে সেই সেমিফাইনালে ৭ গোল খাওয়ার দুঃসহ স্মৃতি এখনও ব্রাজিল ফুটবল এবং সমর্থকদের তাড়া করে বেড়ায়।
ফিফার নতুন নিয়মে পরের বিশ্বকাপের মূল পর্বে যেতে হয়তো সমস্যা হবে না ব্রাজিলের। তবে বাছাইপর্বে এতটা অপমানের মুখে পড়তে হবে –সেটাও কাঙ্ক্ষিত ছিল না। আর্জেন্টিনার কাছে শেষ ম্যাচে ৪-১ গোলে হারতে হয়েছে। তার পরেই ছাঁটাই হন কোচ দরিভাল জুনিয়র। তারপরই আনচেলত্তির জন্য আবারও উঠেপড়ে লাগে ব্রাজিল। অবশেষে আনচেলত্তিকে তারা পেয়েছে। ৬৫ বছর বয়সী আনচেলোত্তি সম্ভবত তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি।
বিবিসিকে ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবল বিশেষজ্ঞ টিম ভিকেরি বলেছেন, ‘২০০২ সালের পর থেকে আমরা প্রতিবার কোনো না কোনো ইউরোপীয় দলের কাছে হেরেছি। এটা কাটাতেই হবে। এতদিনে একজজন ইউরোপীয় কোচ আনা হয়েছে। আমার মতে, ইউরোপীয় দলকে হারাতে হলে এমন কাউকে কোচ করতে হবে, যিনি ওদের সম্পর্কে ভালো জানেন। তাই আনচেলোত্তির চেয়ে ভালো বিকল্প এখন আমাদের কাছে নেই। ব্রাজিলের সিনিয়র খেলোয়াড়েরা দরিভালের কথা শুনত না। আনচেলোত্তির আমলে সেই সুযোগই হবে না। ড্রেসিংরুমে শান্তি বজায় রাখতে তার জুড়ি নেই।’
বাংলাফ্লো/এসও
Comments 0