বাংলাফ্লো ডেস্ক
ঢাকা: ক্রিপ্টিক প্রেগনেন্সি (Cryptic pregnancy) হচ্ছে এমন একটি ঘটনা যেখানে একজন গর্ভবতী নারী গর্ভাবস্থার শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত তার নিজের গর্ভাবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকেনা।
ক্রিপ্টিক প্রেগনেন্সি সম্পর্কিত বেশকিছু কেইস স্টাডি এমনও ঘটনা উল্লেখ করে, যেখানে আত্মীয়স্বজন, এমনকি পারিবারিক ডাক্তাররাও নারীর গর্ভাবস্থা সম্পর্কে আগে থেকেই নিশ্চিত হতে পারেনা। তবে এই আগে থেকে অবগত হতে না পারার যথেষ্ট কারণও রয়েছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একজন নারী গর্ভাবস্থার ০৪ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই এটা অনুমান করতে পারে যে সে গর্ভবতী। কারণ গর্ভাবস্থায় নারীদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া গর্ভাবস্থাতে একজন নারীর বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন যেমন স্থুলতা, বমি বমি ভাব এবং অসুস্থতার অন্যান্য যেসব লক্ষণ দেখে অনুমান করা যায় একজন নারী গর্ভবতী কিনা। কিন্তু ক্রিপ্টিক প্রেগনেন্সিতে অনেক ক্ষেত্রেই এরকম কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায়না। এমনকি এই ধরণের গর্ভাবস্থায় একজন নারীর সত্যিকার মাসিক না হলেও তারা গর্ভাবস্থাতে একপ্রকার অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণজনিত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে পারেন যেটিকে ভুলক্রমে মাসিক মনে হতে পারে। আর ম্যাডিকেল টার্মে এই ধরণের রক্তক্ষরণকে 'Pseudo-menstrual bleeding' বলা হয়।
মূলত, ক্রিপ্টিক প্রেগন্যান্সি একটি বিরল ঘটনা। বর্তমানে করা গবেষণাগুলো থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আনুমানিক প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ জন গর্ভবতী মহিলাদের মধ্য থেকে একজন মহিলা গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ না হওয়া পর্যন্ত (প্রায় ৫মাস) স্বাভাবিকভাবে এটা বুঝতে পারেনা যে তারা গর্ভবতী। আবার, আনুমানিক প্রতি ২৫০০ নারীর মধ্য থেকে একজন নারী ডেলিভারির আগ পর্যন্ত বুঝতে পারেননা যে তারা এতদিন গর্ভবতী ছিলেন।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
বাংলাফ্লো/আফি
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0