জেলা প্রতিনিধি
ভোলা: ভোলার মেঘনা নদীতে সিরামিক কারখানার এক হাজার ৮০০ টন কাঁচামাল নিয়ে এমভি রেক্স গ্লোরি-১ নামের একটি মালবাহী জাহাজ ডুবে গেছে। এ সময় জাহাজে থাকা ১৩ জন নাবিক স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় জীবিত উদ্ধার হন।
রোববার (৩১ আগস্ট) ভোর রাতে সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এমভি সুলতানা বক্কর নামের অন্য একটি জাহাজের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত জাহাজটি উদ্ধারের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সোমবার দুপুরে দেখা গেছে, জাহাজটি ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে পেছনের নাবিকদের থাকার কেবিন এখনও পানির ওপরে দেখা যাচ্ছে। উদ্ধার হওয়া নাবিকরা তুলাতুলি মাছঘাট এলাকায় একটি দোকানে অবস্থান নিয়েছেন। দুই জাহাজের পক্ষ থেকে ভোলা সদর মডেল থানায় আলাদা দুইটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
জাহাজের চালক মো. শহীদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত ২৯ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সিরামিক কারখানার প্রায় ১৮০০ টন কাঁচামাল নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলাম। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত ১১টার দিকে নদীতে ভাটার কারণে ভোলা সদরের তুলতুলি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙর করে জোয়ারের অপেক্ষা করছিলাম। ভোর ৪টার দিকে নদীতে জোয়ার আসলে আমাদের পাশে থাকা এমভি সুলতানা বক্কর জাহাজ নোঙর উঠিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের জাহাজের পেছনের ডেক বরাবর জোরে ধাক্কা দেয়। এতে তলা ফেটে পানি প্রবেশ করতে শুরু করলে আমরা দ্রুত নোঙর তুলে পাশের একটি ডুবোচরের কাছে নিয়ে যাই। পরে একপাশে কাত হয়ে জাহাজটির সামনের অংশ পানির নিচে ডুবে যায়। এরপর জেলেদের সহায়তায় ১৩ জন নাবিক নিরাপদে তীরে ফিরে আসেন। আমরা এখন তুলাতুলি মাছঘাটের একটি দোকানঘরে অবস্থান নিয়েছি। তবে জাহাজের মূল অংশ পানিতে তলিয়ে গেলেও পেছনের কেবিন এখনও পানির ওপরে রয়েছে। মালিকপক্ষ ঘটনাস্থলে আসছেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, মেঘনা নদীতে মালবাহী দুইটি জাহাজের সংঘর্ষে এমভি রেক্স গ্লোরি নামের একটি জাহাজের তলা ফেটে আংশিক ডুবে যায়। ৩১ আগস্ট রবিবার রাতে দুই জাহাজের মালিক পক্ষ থানায় দুটি জিডি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0