জেলা প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং পরবর্তীতে সহিংসতায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে, ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ডাকা অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। তবে, আন্দোলনকারীরা খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়ি-ঢাকা— এই দুটি প্রধান সড়কে অবরোধ শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে, যার ফলে আজ সকাল থেকে এই দুটি রুটে সীমিত আকারে যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
অবরোধ শিথিল হলেও, জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ এখনও কার্যত অচল রয়েছে এবং পুরো জেলাজুড়ে এক থমথমে ও আতঙ্কগ্রস্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। সহিংসতা এড়াতে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা এবং গুইমারা উপজেলায় প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা এখনও বহাল রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে, সেনাবাহিনীর টহলের পাশাপাশি ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আন্দোলনকারী ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ছয়জন প্রতিনিধি এক বৈঠকে বসেন। বৈঠকে, আন্দোলনকারীরা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারসহ আট দফা দাবি পেশ করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও, বৈঠকটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।
এদিকে, গত রবিবার গুইমারায় সহিংসতায় নিহত তিন পাহাড়ির মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে, সোমবার রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাঁদের দাহক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার জের ধরে, ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, যাতে তিনজন নিহত হন এবং বহু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0