বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: রাজধানীর পশুর হাটে ছোট ও মাঝারি গরুর ক্রেতার চাহিদা রয়েছে, কিন্তু দুশ্চিন্তায় বড় গরুর বিক্রেতারা। কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ার শঙ্কা তাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার বড় গরুর ক্রেতাই কম। বিগত সময়ের বিত্তবান অনেকেই এখন দেশে নেই। যার প্রভাব পড়তে পারে বেচাকেনায়।
মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং হাটে রাজাবাবু, সুলতান ও নবাব নামের তিনটি বড় গরু নিয়ে এসেছেন কুষ্টিয়ায় ফজলুল হক। এর মধ্যে ২০ মণ ওজনের রাজাবাবুর দাম হেঁকেছেন ১২ লাখ টাকা। কিন্তু এখন পর্যন্ত দাম উঠেছে মাত্র ৬ লাখ।
ফজলুল হক বলেন, ‘বড় গরুর ক্রেতা এখনও পাই নি। দুই একজন যা আসছে, মনের মতো দাম হয়নি এখনও। বড় গরুর ক্রেতা আসলে এগুলো বিক্রি করে শান্তি পাব।’
একই অবস্থা পাবনার এক বিক্রেতার। উত্তরার দিয়াবাড়ি হাটে এনেছেন বেলজিয়াম জাতের একটি ষাঁড়। দাম চাওয়া হচ্ছে ১৪ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ‘গরুটার লাইভ ওজন আছে ৩৪ মন। দাম চাচ্ছি ১৪ লাখ। বেচা কেনায় কম বেশি তো আছেই।’
রাজধানীর ১৯টি হাটেই বড় গরুর ব্যাপারীদের মুখে হতাশার ছাপ। কাঙ্ক্ষিত দাম নিয়ে শঙ্কায় তারা।
একজন বিক্রেতা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ক্রেতা তেমন নেই কিন্তু দর্শকের অভাব নেই। গরুর দাম করবে, কথা বলবে। কিন্তু সবাই শুধু দামই জিজ্ঞেস করছে, কথা বলছে না। দরদাম করছে না। এবার নাকি বড় গরু চলছে না।’
বিক্রেতারা বলছেন, নানা কারণে এবার বড় গরুর ক্রেতা কমেছে। সবাই ঝুঁকছেন ছোট ও মাঝারি গরুর দিকে।
একজন বিক্রেতা বলেন, ‘হাটে কোনো ক্রেতা নাই। এখন কি করব, কুষ্টিয়া থেকে এসেছি।’
গত বছরের চেয়ে এবার দেশে কোরবানির পশুর উৎপাদন ৫ লাখ কমেছে। তারপরও বড় গরুর চাহিদা কম।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0