স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: সাফ অ-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে আগেই। আজ বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ম্যাচ ছিল শুধুই নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচ চরম নাটকীয়তাপূর্ণ ছিল। ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটের গোলে বাংলাদেশ ৪-৩ ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। ভারত প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল। আজকের জয়ে সেটার বদলা নিলেন অর্পিতারা।
ভারত টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন এরপরও আজ ম্যাচের শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় ফুটবলাররা কেঁদেছেন। আর বাংলাদেশ বিজয় উল্লাস করেছে। কারণ ম্যাচের ৮৮ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ ৩-২ গোলে এগিয়ে ছিল। ভারত নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে সমতা আনে। এরপর ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটে বাংলাদেশ গোল করলে ভারতকে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। নাটকীয় এই হার ভারতীয় ফুটবলাররা কোনোভাবেই যেন মানতে পারছিলেন না!
বাংলাদেশের জয়সূচক গোলটাও বেশ নাটকীয়। একেবারে শেষ মিনিটে ভারতের বক্সের উদ্দেশ্যে বল নিয়ে ছুটছিলেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। তার নেয়া শট ভারতীয় গোলরক্ষকের গ্রিপ ফসকে সাইড পোস্টে লাগে। এরপর বল গড়িয়ে ভারতের জালে জড়ায়। এতে বাংলাদেশের ফুটবলাররা আনন্দ মেতে উঠেন আর ভারত কাঁন্নায় ভেঙে পড়েন। কিক অফের পরপরই রেফারি শেষ বাশি বাজান।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল। সুরভী আকন্দ প্রীতি ৪৭ মিনিটে লিড বাড়িয়ে ৩-১ করেন। অনেকে তখন ম্যাচের শেষ দেখলেও রোমাঞ্চ ছিল অনেক বাকি। ৬৫ মিনটে বাংলাদেশি ডিফেন্ডারের ভুলে ভারত আবার এগিয়ে যায়। ভারতের বাড়ানো এক লং বল বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে পারেননি। ভারতীয় ফরোয়ার্ড ডান প্রান্ত থেকে কোনাকুনি শটে গোল করেন। বাংলাদেশের গোলরক্ষক বক্স থেকে বেরিয়ে আসছিলেন। তার মাথার উপর দিয়ে বল পোস্টে পাঠান প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়। ম্যাচের ৮৮ মিনিটেও বাংলাদেশ আরেকটি দূর পাল্লার শটে গোল হজম করে। এবারও বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেঘলা পোস্ট থেকে সামনে ছিলেন। ভারতীয় ফুটবলার সেটা লক্ষ্য করেই গোল করেছেন। ৮৯ মিনিটে খেলা ৩-৩ সমতা আসলেও ইনজুরি সময়ের নাটকীয় গোলে বাংলাদেশ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে। বাংলাদেশকে জয় এনে দেওয়া প্রীতি ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন।
ম্যাচের শুরুটাও হয়েছিল বাংলাদেশের জন্য দারুণ। প্রথম মিনিটেই পূর্ণিমা মারমা দুর্দান্ত হেডে গোল করেন। সাত মিনিট পর ভারত সমতা আনে। ৩৬ মিনিটে জটলার মধ্যে আলপী আক্তারের গোলে লীড নিয়ে ড্রেসিংরুম ছাড়ে বাংলাদেশ।
সাফ অ-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে চার দল ডাবল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে ছয়টি ম্যাচ খেলছে। ছয় ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট ১৫। বাংলাদেশের ১৩। ভুটানের বিপক্ষে ড্র না করলে বাংলাদেশেরও সমান ১৫ পয়েন্ট থাকত। তখন হেড টু হেড এবং গোল ব্যবধান বিবেচনায় শিরোপা নির্ধারণ হতো।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0