বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারত ও বাংলাদেশ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন তোলেন উপস্থিত এক সাংবাদিক। তবে সে সবের স্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এ খবর জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আয়োজিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাভাবিকভাবেই বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা। এক পর্যায়ে প্রশ্ন আসে চার রাষ্ট্রের জোট কোয়াড এবং তার রেশ ধরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার বিষয়ে।
প্রশ্নকর্তা বলেন, সর্বশেষ কোয়াড বৈঠকে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ থেকে আত্মরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার তাদের রয়েছে এবং জোটের বাকি সদস্যরা সেটা বুঝবে বলেও তারা আশা করেন।
এই ছোট অবতরণিকা পেশ করে প্রশ্নকর্তা বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশাল সীমানা রয়েছে। গত সপ্তাহে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকারের এক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগে বিমানবন্দরের চেকিংয়ে একটি বন্দুকের ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে। ২০২৪ সালে দেশটিতে তৎকালীন সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যবহৃত (অবৈধ) গোলাবারুদের সঙ্গে সেই ম্যাগাজিনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকে।
এ পর্যায়ে সাংবাদিককে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ব্রুস। তবে তাকে উপেক্ষা করে প্রশ্নকর্তা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের কিছু অভিযোগ তুলে বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলেই গত সপ্তাহে হিন্দু ধর্মের একটি উপাসনালয় শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এ কাজে ব্যবহৃত হয়েছে সরকারি বুলডোজার। (ভিন্ন এক ঘটনায়) নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এক হিন্দু নাপিত।
পুরো প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান ওই ব্যক্তি।
প্রশ্নকর্তার উত্থাপিত কোনও অভিযোগের সরাসরি উত্তর না দিয়ে ব্রুস বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের বিষয়টি একটি জটিল ও বিস্তারিত কূটনৈতিক প্রসঙ্গ। যুক্তরাষ্ট্র সেটা বুঝতে পারে।
এছাড়া, কোয়াড বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত জানতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও’র একক বিবৃতি এবং কোয়াড অংশীদারদের যৌথ বিবৃতি দেখার পরামর্শ দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র কেবল নিজেদের অবস্থান নিয়ে কথা বলবে উল্লেখ করে ব্রুস বলেন, অন্য কোনও দেশ, যেমন ভারতের বক্তব্য তারা ব্যাখ্যা বা মূল্যায়ন করবেন না।
বাংলাফ্লো/এসকে
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0