জেলা প্রতিনিধি,
বাগেরহাট: বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবের ইউনিয়নে বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দল থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩ আগস্ট) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় ভাঙচুর চালানো হয়েছে অন্তত ২০টি দোকান ও আশপাশের কয়েকটি বাড়িঘরে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মল্লিকেরবের ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে আব্দুল আলিম হাওলাদার ও সাজারুল ইসলাম সাজুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। শনিবার (২ আগস্ট) রাতে আব্দুল আলিমের অনুসারীরা সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শামীম হাসান পলকসহ ১১ জনকে মারধর করে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের বিচার দাবিতে রোববার বিকেলে পুলিশের অনুমতিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেন সাজারুল ইসলাম সাজু ও শামীম হাসান পলকের সমর্থকরা। কিন্তু মানববন্ধনে জড়ো হওয়ার পরপরই প্রতিপক্ষের লোকজন অতর্কিতে হামলা চালায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সন্ন্যাসী বাজার ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ওসি আতিকুর রহমান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি পরিস্থিতি শান্ত রাখতে। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল ছুড়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা তাদেরকে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি।
সাবেক যুবদল নেতা জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সভাপতি প্রার্থী সাজারুল ইসলাম সাজু ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শামীম হাসান পলকের বিপুল জনপ্রিয়তা দেখে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী নিজেদের ভরাডুবি ভেবে নির্বাচন বানচাল করার জন্য আমাদের লোকদের ওপর হামলা করে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সাবেক ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান মিঠু ও মজনুর নেতৃত্বে এই হামলা হয়।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত সভাপতি প্রার্থী আব্দুল আলিম হাওলাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে রামপাল থানা পুলিশ।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0