বাংলাফ্লো প্রতিনিধি,
ঢাকা: ২৪ এর জুলাইতে ছাত্র-জনতা রক্ত ও জীবন দিয়েছে দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্রকে চিরতরে উৎখাত করার জন্য। হাসিনার পলায়ন সেই চাওয়ার একটা অংশ। পরের কাজ ছিলো, সংবিধান, আইন ও রাজনৈতিক সংস্কার করে দেশে স্বৈরচার সৃষ্টির সম্ভাব্য সকল পথ রুদ্ধ করা বলে মন্তব্য করেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।
তিনি বলেন, কিন্তু অতিব দুঃখের সাথে দেখছি যে, মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন না করে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না করে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না করেই যেনতেন উপায়ে নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে আবারো পুরোনা অশুভ আবর্তে নিক্ষেপ করার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় স্বৈরাচার বিরোধী সব রাজনৈতিক, সামাজিক শক্তি একত্রিত হয়ে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে রেজাউল করীম এসব বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, জুলাইয়ে নিহত পরিবারগুলোতে শোক এখনো বহমান, আহতদের ক্ষত এখনো শুকায় নাই, অন্ধ হয়ে যাওয়া তরুণরা এখনো হাতড়ে বেড়াচ্ছে। অথচ ফ্যাসিবাদের সাথে জড়িতদের বিচার কাজে কোন গতি নাই। ফ্যাসিবাদের প্রমানিত দোসররা উদ্ধতভাবে রাজনীতিতে নামার ঘোষণা দিচ্ছে। এতো রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত জুলাইয়ের সনদ নিয়ে নয়-ছয় করা হচ্ছে।
পুরোনো বন্দোবস্তে নির্বাচন আয়োজনের তোড়জোড় চলছে। সামগ্রিকভাবে প্রতিয়মান হচ্ছে যে, জুলাই এর আত্মত্যাগ ম্রিয়মান হতে চলছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এটা হতে দিতে পারে না। জুলাইয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে যে সাহসিকতা ও ঝুঁকি নিয়ে নেমেছিলাম সেই প্রতিজ্ঞায় আবারো মাঠে অবস্থান নেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, আমাদের দাবি সুস্পষ্ট। আমরা জুলাই সনদের বাস্তবায়ন চাই, এর আইনি ভিত্তি চাই। দ্রুততার সাথে ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করতে চাই। ফ্যাসিবাদের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন বন্ধ করতে চাই। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। আমাদের অবস্থান কোনো দলের বিরুদ্ধে না। বরং জুলাই অভ্যুত্থানের রক্ত ও জীবনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমাদের এই অবস্থান।
আগামী সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবির পক্ষে তার দলের কর্মসূচি তুলে ধরা হবে বলে বিবৃতিতে জানান রেজাউল করিম।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0