মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আনোয়ার হত্যা মামলায় পিস্তলসহ আসামি নূর আলম গ্রেফতার

রাজধানীর বাড্ডায় মাদক-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডায় মাদক-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গত ৮ জুলাই মো. নূর আলম শেখ ওরফে ‘নূরা’ নামে ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে রবিবার (১৩ জুলাই) রাত সোয়া ৯টার দিকে বাড্ডার পূর্ব আনন্দনগর এলাকার হাওলাদার বাড়ির পেছনে কংক্রিটের বস্তার নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল, যেটি আনোয়ার হোসেনকে হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি।

পূর্ব বিরোধ থেকে খুন

পুলিশ জানায়, মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পূর্ব আনন্দনগর এলাকায় আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। গত ৮ মে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তি তার বাসায় ফিরছিলেন। পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকা আসামি নূরা ও তার সঙ্গীরা আনোয়ারের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নূরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আনোয়ারের পেটে গুলি করেন। এরপর সঙ্গীদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনোয়ার হোসেনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৫ জুন দুপুরে তিনি মারা যান।

পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, পিস্তল উদ্ধারে নাটকীয় মোড়

আনোয়ার হত্যার ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি মামলা রুজু হয়। পরে মামলার তদন্তে নামে বাড্ডা থানা পুলিশ। দীর্ঘ নজরদারি শেষে গত ৮ জুলাই গ্রেফতার করা হয় নূর আলম শেখ ওরফে নূরাকে। রিমান্ডে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রবিবার রাতে পূর্ব আনন্দনগরের আকবর আলীর বাড়ির পাশের একটি আম গাছের নিচে, কংক্রিটের বস্তার নিচে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তলটি।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং মামলার অন্য অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

বাড্ডা থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড ছিল সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। মূল আসামিকে ধরতে পারা এবং অস্ত্র উদ্ধার আমাদের তদন্তকে এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। আশা করছি, বাকি আসামিদেরও দ্রুতই আইনের আওতায় আনা যাবে।”

বাংলাফ্লো/এসকে

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0