আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার শুরু

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার শুরু

উক্ত মামলায় ৩০ আসামির মধ্যে ২৪ জন পলাতক ও ৬ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন– এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

মামলার ৩০ আসামির মধ্যে ২৪ জন পলাতক ও ৬ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন– এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। তারা অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ৩০ জুলাই অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী শুনানিতে মামলার বিস্তারিত তুলে ধরেন। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে চারজন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। আইনজীবী সুজাত মিয়া পাঁচজন আসামির হয়ে এবং নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে মামুনুর রশীদ শুনানি করেন। আরও ছিলেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত ২৪ জুন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এরপর ৩০ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনারসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালতে হাজির না হওয়ায় পলাতক ২৪ জনের বিচার তাদের অনুপস্থিতিতেই চলবে।

বাংলাফ্লো/সিএস