স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী দল ঢাকা আবাহনী জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল ২০১৯ সালে। এএফসি কাপের সেমিফাইনাল প্লে-অফ ম্যাচে উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল ২৫–কে পরাজিত করেছিল ঢাকা আবাহনী। পাঁচ বছর পর আবারও জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছে আবাহনী। অথচ আবাহনীর গ্যালারি অনেকটাই ফাঁকা।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শুরু হয়। এরপর প্রায় চার বছর জাতীয়-আন্তর্জাতিক খেলা গড়ায়নি এখানে। চলতি বছরের ৪ জুন বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ দিয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামে আবারও ফুটবল ফিরে। ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচে উপচে পড়েছিল দর্শক। হামজা-সামিতদের খেলা দেখতে দর্শকরা একপর্যায়ে গেট ভাঙার ঘটনাও ঘটেছিল।
মাস দু’য়েকের ব্যবধানে জাতীয় স্টেডিয়ামে আবার আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ ফিরেছে। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ ম্যাচে কিরগিজস্তানের মুরাস ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনী। জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফিরলেও দর্শকরা সেভাবে ফিরেনি। কর্মব্যস্ত মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি প্রায় শূন্যই ছিল। পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত আবাহনী গ্যালারির ওপরের অংশ খানিকটা ভরেছে। আবাহনীর ব্যানার নিয়ে গ্যালারিতে এসেছিলেন সমর্থকরা। নিচের অংশ প্রায় পুরোটাই ফাঁকা ছিল আবাহনীর।
আবাহনী দুই মৌসুম পর আবার এএফসি আসরে ফিরেছে। আবাহনীর জন্য ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদার। তিন সপ্তাহ আগে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ম্যাচের সূচি ঠিক হলেও নানা সংকটে থাকা ক্লাবটি এই ম্যাচ নিয়ে তেমন প্রচার-প্রচারণা করতে পারেনি। তিনদিন আগে ম্যাচের টিকিট ছেড়েছিল আবাহনী। অনলাইন টিকিট বিক্রিতে বাফুফে সহায়তা করেছে। ভালো প্রচার-প্রচারণা করে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আদায়ের সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশের ক্লাবগুলোর মার্কেটিং টিম সেভাবে নেই। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে নিজেদের সেভাবে ব্র্যান্ডিং করতে পারে না।
মোহামেডান ও পূর্ব পাশের গ্যালারিতে হাতেগোনা কয়েকজন দর্শক রয়েছে। ভিআইপি গ্যালারির বড় অংশও ফাঁকা। কিরগিজস্তানের পতাকা নিয়ে ভিআইপি গ্যালারির এক কোণে কয়েকজন কিরগিজ এসেছেন। তারা সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন স্বদেশি ক্লাব মুরাসকে।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0