বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৩৫ মণের ষাঁড় ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’

'শুরু থেকে সিদ্ধান্ত ছিল গরুটিকে খামারে পেলে বড় করব। যত্ন, পরিচর্যা ও পুষ্টিকর খাবারের খাওয়ায়ে ধীরে ধীরে ওজন ও গঠন বাড়িয়েছি। গায়ের রঙ কালো বলে নাম রেখেছি 'ব্ল্যাক ডায়মন্ড'।

ব্ল্যাক ডায়মন্ড

বাংলাফ্লো ডেস্ক

ঢাকা: নড়াইল সদরের তারাপুর গ্রামে একটি খামারে বেড়ে উঠেছে ফ্রিজিয়ান সাহিওয়াল জাতের ষাঁড় 'ব্ল্যাক ডায়মন্ড'। প্রায় ৩৫ মণ (প্রায় এক হাজার ৪০০ কেজি) ওজনের এই ষাঁড়ের দৈর্ঘ্য ১১ ফুট ও উচ্চতা ছয় ফুট। এটি নড়াইল জেলার সবচেয়ে বড় কোরবানির গরু বলে দাবি মালিক মিল্টন শিকদারের।

মিল্টন শিকদার জানান, তিন বছর আগে যশোরের সাতমাইল হাট থেকে প্রায় ৫০০ কেজি ওজনের একটি গরু কিনেছিলেন।

তিনি বলেন 'শুরু থেকে সিদ্ধান্ত ছিল গরুটিকে খামারে পেলে বড় করব। যত্ন, পরিচর্যা ও পুষ্টিকর খাবারের খাওয়ায়ে ধীরে ধীরে ওজন ও গঠন বাড়িয়েছি। গায়ের রঙ কালো বলে নাম রেখেছি 'ব্ল্যাক ডায়মন্ড'।

গত কোরবানির ঈদে ষাঁড়টির ওজন ছিল ৯০০ কেজি। তখন বিক্রির পরিকল্পনা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান মিল্টন।

তার ভাষ্য, 'তখন ভাবলাম, আরও এক বছর রেখে দেখি কী হয়। এখন ষাঁড়টির বয়স সাড়ে চার বছর, দাঁত ছয়টি এবং ওজন প্রায় এক হাজার ৪০০ কেজি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি ষাড়টিকে প্রাকৃতিক উপায়ে বড় করেছি। কোনো ধরনের কৃত্রিম মোটাতাজাকরণ ওষুধ ব্যবহার করিনি। খৈল, ভুট্টার গুঁড়া, ঘাস ও চিটাগুড় খেতে দিয়েছি। কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করলে ওজন আরও বাড়ত, কিন্তু তাতে শরীরে চর্বি জমত, প্রাণশক্তি কমে যেত। এখন সে সুস্থ, শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত। কোরবানির উপযোগী ব্ল্যাক ডায়মন্ড।'

মিল্টন শিকদার বলেন, 'প্রায় তিন বছর ধরে তাকে সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। এবার বিক্রি করতে চাই। তবে হাটে নিয়ে কষ্ট দিতে চাই না। খামার থেকে বিক্রি করব। খুব বেশি লাভের চিন্তা করছি না, মাত্র ১২ লাখ টাকা হলেই দিয়ে দেব।'

খামারকর্মীরা জানান, ব্ল্যাক ডায়মন্ড শুধু খামারের সবচেয়ে বড় নয়, সবচেয়ে শান্ত স্বভাবের। তবে রেগে গেলে তাকে সামলাতে ১৫ থেকে ২০ জন লেগে যায়।

তারা জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক মানুষ খামারে ছুটে আসছেন ব্ল্যাক ডায়মন্ডকে দেখতে।অনেকে ছবি তোলেন আবার কেউ কেউ ভিডিও ধারণও করেন।

বাংলাফ্লো/আফি

Leave a Comment

Comments 0