বাংলাফ্লো প্রতিনিধি,
ঢাকা: মিরপুরের পল্লবী ও বাসাবো এলাকায় দুটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৃথক দুই ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজন গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে মিরপুর পল্লবী এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৪) ধর্ষণ করে মো. মিরাজ (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। অভিযুক্ত মিরাজ পেশায় রাজমিস্ত্রী। তিনি মিরপুরের থাকেন।
শিশুটির চিৎকারে আশেপাশের স্থানীয়রা ফোনে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পল্লবী থানা পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ভুক্তভোগী শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পল্লবীর কালশি রোডের একটি নির্মাণাধীর বাড়িতে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে অভিযোগ মিরাজকে গ্রেফতার করেছি এবং শিশুটিকে ঢামেকের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে গত শনিবার (২৩ আগস্ট) বাসাবো এলাকায় রিমন নামে এক পোশাক শ্রমিকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয়রা অভিযুক্ত রিমনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুরটির মা বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শিশুটির বাবা ভ্যানে ফেরি করে জুতা বিক্রি করেন।আর মা বাসাবাড়িতে বুয়ার কাজ করেন। তারা বাসাবোর একটি টিনসেট বস্তিতে থাকেন। গত শনিবার সকালে প্রতিবেশী অভিযুক্ত রিমন শিশুকে প্রলোভন দেখিয়ে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে। পরে শিশুটির স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত রিমনকে গ্রেফতার করে এবং শিশুটিকে ঢামেকের ওসিসিতে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটি ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, ডেইলি টেন স্কুলে শিশুটি তৃতীয় শ্রেনীতে পড়তো। এই স্কুলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের লেখাপড়া শেখানো হয়। স্কুলের প্রতিষ্ঠাটা মো. আরিফ মাহমুদ বলেন, সেদিন সকালে শিশুটি স্কুলের আসার আগে রিমন নামে এক ব্যক্তি জোর করে তাকে ধর্ষণ করে। পরে আমরা সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সহযোগিতা নেই। এরপর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারে করে নিয়ে যায়।
শিশুটির বাবা রজ্জব আলী জানান, তার মেয়ের অবস্থা খুব একটা ভালো না। শিশুর আরও উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
এদিকে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযুক্ত রিমনকে গ্রেফতার করেছি। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0