বাংলাফ্লো লাইফস্টাইল
ঢাকাঃ বিশ্বজুড়ে দীর্ঘায়ুর জন্য নানা পরামর্শ রয়েছে—কেউ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কথা বলেন, কেউ বা স্ট্রেস কমানোর। কিন্তু ১০১ বছর বয়সী ডাক্তার বলছেন অন্য কথা।
ড. জন শারফেনবার্গ, একজন প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, যিনি শত বছরের বেশি সময় ধরে সুস্থ ও সক্রিয় জীবন কাটিয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন যে দীর্ঘায়ুর গোপন রহস্য শুধুমাত্র খাদ্য বা বিশ্রাম নয়, বরং প্রতিদিনের ব্যায়াম।
ব্যায়াম: সবচেয়ে অবহেলিত জীবনরক্ষাকারী অভ্যাস।
ড. জনের মতে, প্রতিদিন শরীরচর্চা করা জীবন বাঁচানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তুলনা করেছেন, একজন স্থূলকায় ব্যক্তি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তবে তিনি একজন সুস্থ কিন্তু অলস ব্যক্তির চেয়েও বেশি দিন বাঁচতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বা ধূমপানের অভ্যাস থাকা সত্ত্বেও, যদি কেউ সক্রিয় থাকেন, তাহলে তাদের আয়ু বাড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।এটি শুধুমাত্র জিমে যাওয়ার কথা নয়—প্রতিদিনের নড়াচড়াই আসল। হাঁটা, হালকা ব্যায়াম কিংবা যে কোনোভাবে শরীর সচল রাখা দীর্ঘজীবনের মূলমন্ত্র।
ড. জনের জীবনের অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে, জিনগত বিষয় যতটা ভূমিকা রাখে, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রভাব রাখে প্রতিদিনের জীবনযাপন। একই জিনের অধিকারী হয়েও আলাদা সিদ্ধান্ত নিলে আয়ুতে বড় পার্থক্য হতে পারে। ড. জন নিজেও তার জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন—তিনি অবসরকালেও সক্রিয় ছিলেন, বক্তৃতা দিতেন, অন্যদের সাহায্য করতেন। দীর্ঘজীবনের আসল রহস্য কেবল বেশিদিন বেঁচে থাকা নয়, বরং সচল, অর্থবহ জীবন যাপন করা।
গবেষণায় দেখা গেছে, সুখ এবং ইতিবাচক আবেগ শরীরের উপর দারুণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে—স্ট্রেস হরমোন কমায়, হৃদযন্ত্র ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সুখী মানুষ সাধারণত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গ্রহণ করেন এবং তাদের সামাজিক যোগাযোগ শক্তিশালী থাকে, যা আয়ু বাড়াতে সহায়তা করে।
নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ কমানো এবং ভালো ঘুম সুস্থ জীবনযাপনের মূল ভিত্তি। ছোট ছোট প্রতিদিনের ভালো অভ্যাস ভবিষ্যতে সুস্থ ও পরিপূর্ণ জীবনের নিশ্চয়তা দেয়।
আমাদের বয়স দ্রুত বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো শরীরের কোষের প্রাকৃতিক অবনতি এবং বাইরের পরিবেশগত চাপ। তবে নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাবার এবং মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে বয়সের গতি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
সুত্রঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0