রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হিরো আলম তালাক দেবেন তার তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মনিকে

হিরো আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার বাবা মারা যাওয়ার পরও স্ত্রী রিয়া মনি লাশ দেখতে আসেননি। উল্টো হাসপাতালে বাবাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার সময় অনুমতি ছাড়াই রিয়া মনি অন্যদের সঙ্গে শুটিং করেছেন। সেই কনটেন্ট নিজের ফেসবুক পেজে আপলোডও দিয়েছেন।

বগুড়ায় নিজ বাড়িতে হিরো আলমের সংবাদ সম্মেলন/সংগৃহীত

জেলা প্রতিনিধি

বগুড়া: বাবার মৃত্যুর সময় পাশে না থেকে ব্যস্ত ছিল শ্যুটিংয়ে — এমন অভিযোগ তুলে নিজের তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে সংসার না করার ঘোষণা দিয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।

তার অভিযোগ, মুমূর্ষু বাবাকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে প্রায় এক মাস অবস্থান করলেও স্ত্রী রিয়া মনি বাবাকে দেখতে আসেননি, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে লাশও দেখতে আসেননি।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে ডেকে স্ত্রী রিয়া মনির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলেন হিরো আলম।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার পালক বাবা আবদুর রাজ্জাক মারা যান।

বুধবার বগুড়ার এরুলিয়ায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

এরপর নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে স্ত্রী রিয়া মনিকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বয়কটের ঘোষণা দেন।

এ নিয়ে রিয়া মনি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিরো আলমকে পাল্টা দোষারোপ করে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী রিয়া মনির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন হিরো আলম।

সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, ২০১৭ সালে প্রথম স্ত্রী তার বিরুদ্ধে (হিরো আলম) বগুড়ায় মামলা করেন। ওই মামলাকে কেন্দ্র করে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সংসার ভেঙে যায়।

২০২২ সালে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেও বনিবনা না হওয়ায় সংসার ভেঙে যায়। এরপর রিয়া মনির (হিরো আলম প্রযোজিত সিনেমার নায়িকা) সঙ্গে পরিচয় হয়। পরবর্তী সময়ে তারা বিয়ে করেন।

হিরো আলমের অভিযোগ, বিয়ের পর নানা সময় তাকে না জানিয়ে অন্যদের সঙ্গে ভিডিও কনটেন্ট করা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। একাধিকবার বারণ করার পরও তিনি অন্যদের সঙ্গে ভিডিও কনটেন্ট করেছেন।

হিরো আলম জানান, সর্বশেষ গত এক মাস ধরে তার বাবা রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে সংকটপূর্ণ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ সময়ে তার স্ত্রী রিয়া মনি বা তাঁর পরিবারের কেউ হাসপাতালে দেখতে আসেননি। মারা যাওয়ার পরও তাঁরা লাশ দেখতে আসেননি। উল্টো হাসপাতালে বাবাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার সময় অনুমতি ছাড়াই রিয়া মনি অন্যদের সঙ্গে শুটিং করেছেন। সেই কনটেন্ট নিজের ফেসবুক পেজে আপলোডও দিয়েছেন। এসব কারণে বুধবার তাকে বয়কটের (তালাক) ঘোষণা দিলে রিয়া মনি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উল্টো দোষারোপ করেছেন। এ অবস্থায় রিয়া মনির সঙ্গে সংসার করা আর সম্ভব নয়। তাঁকে তিনি তালাক দেবেন।

উল্লেখ্য, নানা সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনায় মাঝে থাকা বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন হিরো আলম।

২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ওই নির্বাচনে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে ২০,৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছিলেন ১৯,৫৭১ ভোট। অন্যদিকে বগুড়া-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান বিজয়ী হন।

পরবর্তীতে আশরাফুল হোসেন ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করেন। ভোট গ্রহণের দিন তার ওপর হামলা হয়। পরে তিনি ভোট বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেন।

বাংলাফ্লো/এসবি

Leave a Comment

Comments 0