Logo

শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুলে দেয়া হল ৭ হল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

বাংলাফ্লো খুলনা প্রতিনিধি

ঢাকা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ জন শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে। এবং বিকেলে খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি আবাসিক হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় আজ এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত (১৪ এপ্রিল )সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আজ সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকেল থেকে ছাত্রদের ৬টি ও ছাত্রীদের ১টি হল খুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে হল খোলার সিদ্ধান্ত নিলেও ক্যাম্পাসের সাতটি আবাসিক হলে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের আগের সিদ্ধান্তকে শিক্ষার্থীয়া অমান্য করে হলের তালা ভেঙে হলগুলোতে অবস্থান নিয়েছিলেন।

এর আগে (১৫ এপ্রিল) ছেলেদের ছয়টি হলের তালা ভাঙে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রোকেয়া হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করে ছাত্রীরা।

এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন আন্দোলনের মধ্যে আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার কুয়েট ক্যাম্পাসে যান। সেখানে তিনি অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালে শিক্ষার্থীরা উপদেষ্টার অনরোধ উপেক্ষা করে অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেয়। এবং তাদের সিন্ধান্তে অনড় থাকে।

ইতোমধ্যে অনশনে থাকা ৩২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।

এদিকে আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষক সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা বলেন, চাপ দিয়ে উপাচার্যের অপসারণ করা হলে মেনে নেবেন না। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপাচার্যের পক্ষে মানববন্ধন করেছে কর্মচারী সমিতি।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হয়। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বাংলাফ্লো/এসএস



Related Posts বাংলাদেশ

Leave a Comment

Comments 0