বাংলাফ্লো লাইফস্টাইল

ঢাকা: মশা শুধু বিরক্তিকর নয়, এটি ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগ ছড়াতে পারে। বাজারে অনেক রাসায়নিক মশার ধূপ বা স্প্রে পাওয়া যায়, কিন্তু সেগুলোতে থাকা বিষাক্ত উপাদান আমাদের শ্বাসতন্ত্র, শিশু ও পোষা প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই মশা দূর করার জন্য অনেকেই এখন পরিবেশবান্ধব ও প্রাকৃতিক উপায় বেছে নিচ্ছেন। লেবু ও লবঙ্গ পদ্ধতি সহজ, সস্তা এবং নিরাপদ। এই পদ্ধতিটি শুধু মশা তাড়ায় না, ঘরকে করে তোলে সতেজ ও সুগন্ধময়। এমনকি এটি শ্বাসযন্ত্রের জন্যও উপকারী।

যা লাগবে: ১টি মাঝারি আকারের লেবু ও ৫–১০টি লবঙ্গ

পদ্ধতি: ১. প্রথমে লেবুকে মাঝখান থেকে দুই ভাগ করে কেটে নিতে হবে।

২. প্রতিটি লেবুর টুকরোতে লবঙ্গগুলো গেঁথে দিতে হবে।

৩. এরপর এগুলো ঘরের কোণায়, জানালার পাশে বা যেখানে মশা বেশি আসে সেখানে রেখে দিতে হবে।

লেবু ও লবঙ্গের গন্ধ মশার পছন্দ নয়। ফলে তারা ওই জায়গা থেকে দূরে সরে যায়। ২–৩ দিন পর পর লেবু পরিবর্তন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

মশা তাড়ানোর আরও কিছু কার্যকর অর্গানিক উপায়

১. তুলসি গাছ: তুলসি পাতার গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। জানালার পাশে বা বারান্দায় একটি তুলসি গাছ রাখলে ঘরের চারপাশে মশার আনাগোনা কমে যায়।

২. লেমনগ্রাস তেল: লেমনগ্রাস তেলে থাকা সিট্রোনেলা একটি প্রাকৃতিক মশা তাড়ানোর উপাদান। কয়েক ফোঁটা লেমনগ্রাস তেল পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে ঘর থাকবে মশামুক্ত।

৩. নারকেল তেল + নিম তেল: সমপরিমাণে নারকেল তেল ও নিম তেল মিশিয়ে শরীরে ব্যবহার করলে এটি মশা থেকে রক্ষা করে। এটি ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে।

৪. ধূপ বা মোমবাতি: সিট্রোনেলা দিয়ে তৈরি মোমবাতি বা ধূপ জ্বালালে মশা দূরে থাকে। ঘরের পরিবেশও হয়ে ওঠে মিষ্টি গন্ধে ভরা।

৫. রসুন: রসুনে থাকা সালফারযুক্ত গন্ধ মশা পছন্দ করে না। কয়েক কোয়া রসুন থেঁতো করে পানিতে ফুটিয়ে স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

৬. নীল পেঁয়াজ বা পুদিনা গাছ: এই গাছগুলোর ঘ্রাণ মশা অপছন্দ করে। বারান্দা বা জানালার পাশে গাছ রাখলে মশার সংখ্যা কমে।

মশা তাড়াতে রাসায়নিক স্প্রে বা কয়েলের বদলে এইসব ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করলে পরিবেশ যেমন সুরক্ষিত থাকে, তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমে যায়। বিশেষ করে যাদের শিশু বা এলার্জি সমস্যা আছে, তাদের জন্য এসব অর্গানিক সমাধান খুবই কার্যকর।

বাংলাফ্লো/আফি