বাংলাফ্লো বিনোদন
ঢাকা: সত্তরের দশক পরবর্তী সময় থেকেই ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী রেখা। তবে তার বাস্তব জীবন হার মানায় ট্র্যাজেডি সিনেমাকেও। বিশেষ করে তার বিবাহিত জীবন নিয়ে আছে আলোচনা। তার প্রথম স্বামী নিয়ে বলিউড পাড়ায় আছে নানা আলোচনা। আর দ্বিতীয় স্বামী মুকেশ আগারওয়াল আত্মহত্যা করেন। কিন্তু কেনো?
রেখার পুরো নাম ভানুরেখা গিমিনি গানেসান। ১৯৫৪ সালের ১০ অক্টোবর তামিলনাড়ুতে জন্মগ্রহণ করেন এই অসাধারণ গুণী অভিনেত্রী। জনপ্রিয় তামিল অভিনেতা গিমিনি ও তেলেগু অভিনেত্রী পুষ্পাভালী দম্পতির সন্তান তিনি। অভাবনীয় সাফল্যে পরিপূর্ণ তার ক্যারিয়ার যেখানে ১৮০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। অর্জন করেছেন পদ্মশ্রী ও জাতীয় পুরস্কার।
বলিপাড়ার একাধিক অভিনেতার সঙ্গে রেখার প্রেমের গুঞ্জন শোনা যেতো। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এখনও চলে আলোচনা। এই আলোচনা এতটাই তীব্র যে, অমিতাভের স্ত্রী জয়া তাদের নিয়ে সন্দেহ করেন এবং চোখে চোখে রাখেন বিগ-বিকে।
এছাড়াও রেখার জীবনে ছিলেন জিতেন্দ্র,বিনোদ মেহরা প্রমুখ।
জিতেন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় নি।
তবে বিনোদ মেহরার সঙ্গে কাজের সূত্রে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব ও পরবর্তীতে গভীর প্রেম।
গোপনে কলকাতায় গিয়ে বিয়েও করেছিলেন রেখা ও বিনোদ। এরপর বিনোদ রেখাকে নিয়ে যান নিজের বাড়িতে। কিন্তু সেখানেই ঘটে ট্র্যাজেডি।
বিনোদের মা রেখাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে পারেননি বলে শোনা যায় বলিউডপাড়ায়।
রেখার অতীতের প্রেমের গসিপ ও সাহসী ভাবনাই তাদের মধ্যে বিভেদের কারণ হয়।এক সাক্ষাৎকারে রেখা জানান, বিনোদের মা তাকে হাইপারসেক্সচুয়াল বা অতিকামি বলে মনে করতেন। বিয়ের পর গৃহপ্রবেশের দিন রেখাকে তার শাশুড়ি ধাক্কা দেয় এবং জুতোপেটাও করে । অপমানে রেখা বাড়ি ছেড়ে চলে যান । এরপর দীর্ঘ সময় কোনো সম্পর্ক সামনে আসেনি তার।
১৯৯০ সালে ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালের সাথে রেখা দ্বিতীয়বারের মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । তবে সে সম্পর্ক মাত্র ছয় মাস টিকেছিল।
দাম্পত্য কলহ ও মতানৈক্যের কারণে রেখা বিবাহবিচ্ছেদ করেন। এতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যা করেন মুকেশ আগরওয়াল।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0