শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো ‘মার্চ ফর গাজা’

বিকাল সোয়া ৪টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেকের মোনাজাতের মাধ্যমে এই কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিবেদক

ঢাকা: গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে রাজধানী ঢাকায় আয়োজন করা হয় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। কর্মসূচি রূপান্তর হয় গণজমায়েতে।

শনিবার (১২ মার্চ) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ জনতার উপস্থিতিতে গাজাবাসীর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে এই কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। সবার পক্ষে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এরপর বিকাল সোয়া ৪টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেকের মোনাজাতের মাধ্যমে এই কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।

এর আগে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বিখ্যাত কারী আহমদ বিন ইউসুফের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক।

গণজমায়েতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তা-মত পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু স্বাধীন ফিলিস্তিন সেখানকার মানুষের অধিকার। গাজার মানুষের ওপর জুলুম বন্ধের দাবিতে আমরা প্রত্যেক বাংলাদেশি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।

এ সময় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী স্লোগানে স্লোগানে ফিলিস্তিনের ভাইদের প্রতি সংহতি প্রকাশের আহ্বান জানান।

ঘোষণাপত্রে ইসরায়েলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুন:

‘মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্র: ইসরায়েলের সাথে সকল চুক্তি বাতিল ও সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান

‘জনতার এ মহাসমুদ্র ফিলিস্তিন ও আল আকসার প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ’

মার্চ ফর গাজা: শেষ সময়েও জনস্রোত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে

মার্চ ফর গাজা: মিছিলে মিছিলে মুখরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, প্রস্তুত মঞ্চ

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যেতে হবে ৫ রুটে, মানতে হবে ৪ নির্দেশনা

মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে অংশ নেবে বিএনপি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার কর্মসূচিতে অংশ নেন।

পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল করিম ও দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এ কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর জনগণকে স্লোগানে উৎসাহ ও বক্তব্য দেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ ও ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারি। এসময় মুফতি রেজাউল করিম আবরারের উপস্থাপনায় বক্তব্য দেন অনেকে।

অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক অতিথি উপস্থিত থাকলেও কেউই বক্তব্যের সুযোগ পাননি। লিখিত ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা সবার বক্তব্য বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সবার পক্ষে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান

মাহমুদুর রহমানের পাঠ করা ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামাটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম। আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরাক্রমশালী, যিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী, যিনি মজলুমের পাশে থাকেন, আর জালেমের পরিণতি নির্ধারণ করেন।

আজ আমরা, বাংলাদেশের জনতা-যারা জুলুমের ইতিহাস জানি, প্রতিবাদের চেতনা ধারণ করি-সমবেত হয়েছি গাজার মৃত্যুভয়হীন জনগণের পাশে দাঁড়াতে। আজকের এই সমাবেশ কেবল প্রতিবাদ নয়, এটি ইতিহাসের সামনে দেওয়া আমাদের জবাব, একটি অঙ্গীকার, একটি শপথ।

এই পদযাত্রা ও গণজমায়েত থেকে আজ আমরা চারটি স্তরে আমাদের দাবিসমূহ উপস্থাপন করব-

আমাদের প্রথম দাবিগুলো জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি। যেহেতু-জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সকল জাতির অধিকার রক্ষার, দখলদারিত্ব ও গণহত্যা রোধের সংকল্প প্রকাশ করে; এবং-আমরা দেখেছি, গাযায় প্রতিদিন যে রক্তপাত, যে ধ্বংস চলছে, তা কোনো একক সরকারের ব্যর্থতা নয়-বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক ব্যর্থতার ফল; এবং-এই ব্যর্থতা শুধু নীরবতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়-বরং পশ্চিমা শক্তিবলয়ের অনেক রাষ্ট্র সরাসরি দখলদার ইজরায়েলকে অস্ত্র, অর্থ ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে এই গণহত্যাকে দীর্ঘস্থায়ী করেছে; এবং-এই বিশ্বব্যবস্থা দখলদার ইজরায়েলকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে বরং রক্ষা করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে; সেহেতু আমরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো দাবি জানাচ্ছি।

এবং-গাযা আমাদের জন্য এক আয়না-যেখানে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে বিশ্বাসী হওয়া মানে কেবল বেঁচে থাকা নয়, সংগ্রামে দৃঢ় থাকা; সেহেতু আমরা এই মাটির মানুষ, এই মুসলিম ভূখণ্ডের নাগরিক, এই কওমের সন্তান এবং সর্বোপরি মুসলিম উম্মাহর সদস্য-একটি অঙ্গীকার করছি:

১। আমরা সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বয়কট করবো-প্রত্যেক সেই পণ্য, কোম্পানি ও শক্তিকে যারা ইজরায়েলের দখলদারিত্বকে টিকিয়ে রাখে।

২। আমরা আমাদের সমাজ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করবো-যারা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সকল প্রতীক ও নিদর্শনকে সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করবে, ইনশাআল্লাহ।

৩। আমরা আমাদের সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তুলবো-যারা নিজেদের আদর্শ ও ভূখণ্ড রক্ষায় জান ও মালের সর্বোচ্চ ত্যাগে প্রস্তুত থাকবে।

৪। আমরা বিভাজিত হবো না-কারণ আমরা জানি, বিভক্ত জনগণকে দখল করতে দেরি হয় না।

আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো, যাতে এই বাংলাদেশ কখনো কোনো হিন্দুত্ববাদী প্রকল্পের পরবর্তী গাজায় পরিণত না হয়।

আমরা শুরু করবো নিজেদের ঘর থেকে-ভাষা, ইতিহাস, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সমাজ-সবখানে এই অঙ্গীকারের ছাপ রেখে।

আমরা মনে রাখবো: গাযার শহীদরা কেবল আমাদের দোয়া চান না-তাঁরা আমাদের প্রস্তুতি চান।

শেষকথা:

শান্তি বর্ষিত হোক গাযার সম্মানিত অধিবাসীদের উপর-তাঁদের উপর, যাঁরা নজিরবিহীন সবর করেছেন, যাঁরা অবিচল ঈমানের প্রমাণ দিয়েছেন। যাঁরা ধ্বংসস্তূপের মাঝেও প্রতিরোধের আগুন জ্বেলেছেন।

বিশ্বের নীরবতা ও উদাসীনতার যন্ত্রণা হাসিমুখে বুকের মাঝে ধারণ করেছেন। শান্তি বর্ষিত হোক তাদের উপর, যাঁরা নাম রেখে গেছেন ইজ্জতের খতিয়ানে-

শান্তি বর্ষিত হোক হিন্দ রজব, রীম এবং ফাদি আবু সালেহ সহ সকল শহীদেরর উপর, যাঁদের রক্ত দ্বারা গাজার পবিত্রভূমি আরো পবিত্র হয়েছে, যাঁদের চোখে ছিল প্রতিরোধের অগ্নিশিখা।

শান্তি বর্ষিত হোক বাইতুল মাকদিসের গর্বিত অধিবাসীদের উপর, যাঁদের হৃদয়ে এখনো ধ্বনিত হয় 'আল-কুদস লানা', আল কুদস আমাদের!

গাজার জনগণকে অভিনন্দন-

আপনারা ঈমান, সবর আর কুরবানীর মহাকাব্য রচনা করেছেন। দুনিয়াকে দেখিয়েছেন-ঈমান আর তাওয়াক্কুলের শক্তি আমরা, বাংলাদেশের মানুষ-শাহ জালাল আর শরীয়াতুল্লাহর ভূমি থেকে দাঁড়িয়ে, আপনাদের সালাম জানাই, আপনাদের শহীদদের প্রতি ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই, আর আমাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় এই দো'আ-হে আল্লাহ, গাজার এই সাহসী জনপদকে তুমি সেই পাথর বানিয়ে দাও, যার উপর গিয়ে ভেঙে পড়বে জায়োনিস্টদের সব ষড়যন্ত্র।

বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ।

এর আগে, এদিন চৈত্রের দুপুরে সূর্যে তপ্ত রোদকে উপেক্ষা করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেমেছে লাখো মানুষের ঢল। সবার হাতে দুই হাজার কিলোমিটার ‍দূরের ভূমি ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা। গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। মূলমঞ্চ থেকে একটু পর পর ঘোষণা হচ্ছে, মাঠের ভেতরে আর কোনও যায়গা নেই। এই মুহূর্তে যারা যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানেই বসে পড়ুন।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দল, সংগঠন এবং ইসলামি বক্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উদ্যোগে কর্মসূচির আয়োজন করেছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।

আয়োজকদের মতে, এই কর্মসূচির লক্ষ্য গাজার নিরস্ত্র জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ, বিশ্বজনমত গঠন এবং মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে সোচ্চার হওয়া।

এই আয়োজনে একাত্মতা প্রকাশ করে সমর্থন জানায় দেশের বড় বড় ইসলামিক স্কলার, তারকা খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

এদিন, বিকেল ৩টা থেকে মূল আয়োজন শুরু হলেও এদিন সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল নেমেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এরই মধ্যে মূল অনুষ্ঠানস্থলে চলে এসেছেন কয়েক হাজার মানুষ।

শেষ মুহূর্তে এসেও দেখা যায় থেমে নেই জনস্রোত। দুপুর পেরোলেও এখনও বিভিন্ন গেট দিয়ে মানুষ উদ্যানের ভেতর প্রবেশ করছেন।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে তরুণ, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের। অনেকেই হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন— ‘গাজা শান্তি চায়’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক’, ‘ফিলিস্তিনের শিশুদের রক্ষা করো’।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের মুখে চোখে পড়ে ব্যতিক্রমী দৃশ্য— কারও গায়ে ‘Free Palestine’ লেখা টি-শার্ট, কারও হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা। কেউ মাথায় বেঁধেছেন রুমাল, তাতে আরবি ক্যালিগ্রাফিতে লেখা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’।

কাঁধে পতাকা ঝুলিয়ে রাখা তানভির ইসলাম নামের এক তরুণ বলেন, গাজার মানুষ আমাদের মতোই মানুষ। তাদের ওপর এমন বর্বরতা দেখে ঘরে বসে থাকতে পারিনি। অন্তত একটা বার্তা দিতে এসেছি যে, আমরা তাদের পাশে আছি।

কেরানিগঞ্জ থেকে মিছিল নিয়ে আসা কলেজছাত্র মাহফুজ আলম বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকেই গাজায় যুদ্ধ দেখে আসছি। আমরা চাই এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববাসীর চোখ খুলে যাক। গাজার শিশুদের মুখে হাসি ফেরানোর জন্য বিশ্ব নেতারা যেন কিছু করেন। গাজার মানুষের জন্য আমরা বুক পেতে দিতেও রাজি।

অন্যদিকে, বিপুল জমায়েত ঘিরে যেন কোনো ধরনের অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে একত্রিত হয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শিল্পী, কবি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখরা। এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলমত নির্বিশেষে সবাই ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধে দৃঢ় অবস্থান নেন এবং সাহসী কণ্ঠে প্রতিবাদ জানান।

বাংলাফ্লো/এসবি

Leave a Comment

Comments 0