শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মাগুরার শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলার বিচার শুরু, পরবর্তী শুনানি ২৭ এপ্রিল

শুনানির মধ্য দিয়ে আলোচিত এই ঘটনার বিচার শুরু হল।

ধর্ষণ মামলার আসামি

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। এর মধ্য দিয়ে আলোচিত এই ঘটনার বিচার শুরু হল। 

মামলাটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় অ্যাটর্নি জেনারেলের সম-মর্যাদাপ্রাপ্ত আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীকে।

শুনানিতে অংশ নেন এহসানুল হক সমাজী।এছাড়াও শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুলসহ অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শেষে এহসানুল হক সাংবাদিকদের বলেন ,আসামিদের বিরুদ্ধে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও অন্যান্য নথির ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বোনের শ্বশুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (২) ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু) অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বোনের স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশে (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্ট) অভিযোগ গঠন করা হয়।

কৌঁসুলি এহসানুল হক সমাজী সাংবাদিকদের আরও জানান,এই মামলার ন্যায়বিচার নিশ্চিতের স্বার্থে আসামিরা নিজেদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আসামিদের আইনজীবী নিয়োগ করতে হলে কারাবিধি অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।

এছাড়া বিচারক আসামিদের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করছেন কি না জানতে চাইলে ,আসামিরা অপরাধে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।

১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়।

এর আগে ১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

তিনি বলেন,৬ মার্চ সকালে বোনের স্বামীর কক্ষে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন।

তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আসামির জবানবন্দির সঙ্গে বাদীর এজাহারে কিছু অমিল রয়েছে। এজাহারে বলা হয়, ঘটনা ঘটেছিল রাতে এবং শিশুটির স্বামী ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার পর তার বাবা শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।

আজ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন চার আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, বোনের স্বামী ও ভাশুর। ২৭ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

বাংলাফ্লো/এসএস




Leave a Comment

Comments 0