Logo

প্রকৌশলীর মতো আচরণ করে শিম্পাঞ্জি!

মানবসভ্যতার প্রযুক্তিগত বিবর্তন সম্পর্কে জানতে শিম্পাঞ্জির প্রকৌশলচর্চা নিয়ে কাজ করছেন গবেষকেরা।

শিম্পাঞ্জি

বাংলাফ্লো লাইফস্টাইল

ঢাকাঃ শিম্পাঞ্জির রয়েছে কথা বলার ক্ষমতা এবং প্রযুক্তি ব্যবহার এর দক্ষতা,এমনটাই দাবি করছেন গবেষকরা ।বুদ্ধিমান প্রাণী শিম্পাঞ্জি বেঁচে থাকার তাগিদে বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করে থাকে। ‘আইসায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে- শিম্পাঞ্জি সরঞ্জাম তৈরিতে বিশেষ ধরনের সহজাত প্রকৌশলক্ষমতা ব্যবহার করে যা অনেকটা আদি মানুষের সরঞ্জাম বিবর্তনের প্রতিফলনের মতোই। নিজেদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ক্ষণস্থায়ী সরঞ্জাম তৈরি করে এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও প্রকৌশলগত নির্ভুলতা সম্পর্কে ধারণা রয়েছে শিম্পাঞ্জির। মানবসভ্যতার প্রযুক্তিগত বিবর্তন সম্পর্কে জানতে শিম্পাঞ্জির প্রকৌশলচর্চা নিয়ে কাজ করছেন গবেষকেরা। উইপোকা ধরার সময় শিম্পাঞ্জি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী আলেজান্দ্রা পাস্কুয়াল-গারিডো বলেন,

‘প্রথমবারের মতো আমরা শিম্পাঞ্জির প্রকৌশলচর্চা নিয়ে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করেছি। বন্য শিম্পাঞ্জি উইপোকা ধরার সরঞ্জাম তৈরির জন্য নির্দিষ্ট যান্ত্রিক কৌশল ব্যবহার করে সরঞ্জাম তৈরির উপকরণ নির্বাচন করে।’

গবেষকদের তথ্যমতে,সরঞ্জাম ভাগাভাগির মতো অর্জিত শিক্ষাও পরস্পরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে শিম্পাঞ্জি। শিম্পাঞ্জি সম্ভবত একধরনের লোক পদার্থবিদ্যা অনুসরণ করে। যার অর্থ শিম্পাঞ্জি বস্তুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সহজাত ধারণা ধারণ করে।মানুষের সঙ্গে অন্য প্রাণীদের মস্তিষ্কের পার্থক্যের কারণে কথা বলার ক্ষমতায় ভিন্নতা দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, শিম্পাঞ্জিদের মানুষের মতো কথা বলার ক্ষমতা রয়েছে। যদিও কথা বলার এ ক্ষমতা খুবই প্রাথমিক পর্যায়ের।শিম্পাঞ্জিদের উচ্চারণ মানুষের কথা বলার থেকে কিছুটা ভিন্ন হলেও নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে তারা মানুষের মতো কিছু কথা বলতে পারে।জনি নামের একটি শিশু শিম্পাঞ্জি মানুষের সঙ্গে একই বাড়িতে দীর্ঘদিন থাকার কারণে মামা (মা), পাপা (বাবা) বা কাপের মতো সহজ শব্দ বলতে পারত। শিম্পাঞ্জিটি ২০০৭ সালে মারা গেছে। অন্যদিকে রেনেটা নামের অপর একটি শিম্পাঞ্জিও মানুষের মতো শব্দ করতে পারত। ১৯৬২ সালে মুক্তি পাওয়া একটি সিনেমায় অভিনয়ও করেছে শিম্পাঞ্জিটি।

বাংলাফ্লো/আফি

Related Posts শিক্ষা

Leave a Comment

Comments 0