স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতীয় দলের শেষ ৭টি উইকেট তুলে নিতে তৃতীয় সেশনের পুরোটাও লাগল না অস্ট্রেলিয়ার। ৩৪০ রানের লক্ষ্যে নেমে রোহিত শর্মাদের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৫৫ রানেই। ১২১ রানে ৪ উইকেট হারানো ভারত এরপর মাত্র ৩৪ রানে হারিয়েছে সবগুলো উইকেট। এতে ১৮৪ রানের দারুণ জয় তুলে নেয় কামিন্সের দল। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে গেল অজিরা। এছাড়াও এই মাঠে ১৩ বছর পর ভারতকে দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেট হারালো অসিরা। এর আগে সর্বশেষ ২০১১ সালে ভারতীয়দের হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে এই জয়ে বোর্ডার–গাভাস্কার সিরিজে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট সিডনিতে ৩ জানুয়ারি শুরু হবে। মেলবোর্নের এই হারে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দৌড় থেকেও ছিটকে গেল ভারত। এর আগে জসপ্রীত বুমরাহর তোপের পরও শেষ দিকে অজি টেলেন্ডারদের প্রতিরোধ। এতেই ৩৩৯ রানের বড় লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর স্বাগতিক পেসারদের তোপে মাত্র ১৫৫ রানেই শেষ ভারত। মেলবোর্ন টেস্টে ১৮৪ রানের বড় জয় পেয়েছে প্যাট কামিন্সের দল। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ২২৮ রান নিয়ে শেষ দিনে ব্যাট করতে নামেন অস্ট্রেলিয়ার দুই অপরাজিত ব্যাটার নাথান লিওন ও স্কট বোল্যান্ড। এ দিন মাত্র ৬ যোগ করে অস্ট্রেলিয়া। ৪১ রানে লিওন আউট হলে ২৩৪ রানে অলআউট হয় অজিরা। ভারতের জন্য জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪০ রানের। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অজি পেসারদের তোপে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে ভারতীয় ব্যাটাররা। দলীয় ৩৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। রোহিত শর্মা ৯, বিরাট কোহলি ৫ ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান লোকেশ রাহুল। এরপর যশস্বী জয়সওয়াল ও ঋঝভ পন্থ মিলে শুরু ধাক্কা সামাল দেন। ৮৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন জয়সওয়াল। তবে দলীয় ১২১ রানে ১০৪ বলে ৩০ রান করে আউট হন পন্থ। তার বিদায়ের পর দ্রুতই আরও জোড়া উইকেট হারায় ভারত। রবীন্দ্র জাদেজা ২ ও নীতিশ কুমার রেড্ডি ১ রান করে আউট হন। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ভারতকে ম্যাচে টিকে রেখে ছিলেন জয়সওয়াল। ৮৪ রান করেন তিনি। ম্যাচের এমন অবস্থায় তৃতীয় আম্পায়ার বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতের সাহসী এক সিদ্ধান্তে আউট হয়ে ফিরে যান জয়সওয়াল। তার বিদায়ের পর প্রতিরোধ গড়তে পারেননি ভারতের টেলেন্ডাররা। শেষ পর্যন্ত ৭৯ ওভার ১ বলে ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্যাট কামিন্স ও স্কট বোল্যান্ড নেন ৩টি করে উইকেট।