কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন।
গতকাল ৮ মার্চ শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার ৮ ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ৬১ ব এই ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ রফিক (৩৩) ক্যাম্পটির শামসুল আলমের ছেলে ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (এপিবিএন) ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি।
জানা যায় দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে পড়ে এক রোহিঙ্গা যুবক মারা যান। নিহত ওই রোহিঙ্গা যুবক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে এপিবিএনের তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানান এপিবিএন’র এ কর্মকর্তা।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন স্থানীদের বরাত দিয়ে বলেন, রাতে উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং ৮-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝামাঝি এলাকায় সশস্ত্র সংগঠন আরসা ও আরএসও সদস্যরা আকস্মিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুইপক্ষের সংঘর্ষের মাঝামাঝি পড়ে এক রোহিঙ্গা যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিকে বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় থানার ওসি বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ক্যাম্পের হাসপাতাল থেকে এক রোহিঙ্গা যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তার বুকের ডান পাশে গুলির আঘাত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্টির মধ্যে সংঘর্ষে ঘটেছে বলে তথ্য পেলেও প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি । সেই সাথে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি আরিফ।
উল্লেখ্য গত এক সপ্তাহের মধ্যে এটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দ্বিতীয় হত্যাকান্ড। এর আগে গত ৫ মার্চ ২০ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি মোহাম্মদ নুর কে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এসএস/আরআর