বাংলাফ্লো ডেস্ক
ঢাকা: প্রবল তাপপ্রবাহের কবলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা।তীব্র রোদের তাপে তেঁতে উঠেছে প্রকৃতি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাপমাত্রার আদ্রতা এবং বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা মাঝারি ধরনের এই তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো জেলা। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা। শ্রমিক,দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন।
চুয়াডাঙ্গা শহরের কয়েকজন খেটে খাওয়া দিনমজুর বলেন,গত দুই দিন প্রচন্ড গরম পড়ছে। রোদের তীব্রতা অনেক। কষ্ট হচ্ছে কাজ করতে।দুপুর হলেই ক্লান্তিতে শরীর চলে না। বিকেলের আগেই বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে।এমন গরম পড়তে থাকলে কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
শহরের এক ডাব বিক্রেতা বলেন,গত তিন দিন যাবত ডাব বিক্রি্র সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। গরম যত বেশি পড়বে বিক্রি তত হবে। তবে বেলা বাড়লেই লোকজনের আনাগোনা খুবই সীমিত হয়ে যায়। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।
তিনি বলেন,জেলার উপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর থেকে কমতে পারে।
বাংলাফ্লো/এসএস
Comments 0